জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস চলমান বৈশ্বিক সংঘাতসহ আর্থিক, জ্বালানি ও খাদ্যসংকট এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের কারণে উদ্ভূত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রতি আবারও সংস্থাটির অব্যাহত সমর্থন জানিয়েছেন।
শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠককালে বাংলাদেশের প্রতি জাতিসংঘের অব্যাহত সমর্থন জানান তিনি।
গুতেরেস বলেন, লাটভিয়া, এস্তোনিয়া, বেলজিয়াম ও নেদারল্যান্ডসে সারের কাঁচামালের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে, যা বাংলাদেশ সাশ্রয়ী মূল্যে আমদানির কথা বিবেচনা করতে পারে।
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ এই সুযোগ কাজে লাগানোর বিষয়টি বিবেচনা করবে।
বৈঠককালে জাতিসংঘ মহাসচিব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের অসাধারণ উন্নয়নের গতিধারার প্রশংসা করেন। বাংলাদেশ আগামী বছরগুলোতে, বিশেষ করে এসডিজি অর্জনে আরও সাফল্য অর্জন করবে বলেও গুতেরেস আশা প্রকাশ করেন।
বিশ্বে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে শীর্ষ সেনা ও পুলিশ সদস্য পাঠানো দেশ হিসেবে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় বাংলাদেশের ধারাবাহিক নেতৃত্বেরও প্রশংসা করেন জাতিসংঘ মহাসচিব।
তারা সম্প্রতি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে মিয়ানমারের ওপর গৃহীত রেজুলেশনের পরিপ্রেক্ষিতে রোহিঙ্গা সংকট ও এর সম্ভাব্য উত্তরণের উপায় নিয়ে আলোচনা করেন এবং এই সংকট সমাধানে আসিয়ানের কার্যকর ভূমিকার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে মহাসচিব ১ দশমিক ২ মিলিয়ন রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশের উদারতার ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে ফেরাতে আবারও জাতিসংঘের সমর্থন ঘোষণা করেন।
রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এক তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে সাক্ষাতের আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাধারণ পরিষদের সভাপতি সাবা কোরেসি, ডিপার্টমেন্ট অব পিসবিল্ডিং অ্যান্ড পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্স-এর (ডিপিপিএ) আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল রোজমেরি ডিকার্লো এবং পিস অপারেশন বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জ্যঁ পিয়েরে ল্যাক্রুয়ার সঙ্গেও বৈঠক করেন।
সাধারণ পরিষদের সভাপতির সঙ্গে বৈঠকের সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাউথ-সাউথ কো-অপারেশন বিষয়ে বাংলাদেশের ধারণাপ্রসূত মন্ত্রিপর্যায়ের একটি নতুন ফোরাম প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করেন। উপরোক্ত উদ্যোগের জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনকে ধন্যবাদ জানিয়ে সাধারণ পরিষদের সভাপতি সাম্প্রতিক সময়ে জাতিসংঘের বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের অসাধারণ নেতৃত্ব, কার্যকর সম্পৃক্ততা এবং উল্লেখযোগ্য অবদানের প্রশংসা করে বাংলাদেশের সঙ্গে একত্রে কাজ করার অঙ্গীকার ঘোষণা করেন।
জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র: বাসস
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply