হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের পূর্ব নাম রঘুনন্দন বনভূমি। বর্তমানে এই বনভূমি রঘুনন্দন পার্বত্য বনভূমির অংশ। বন ও পরিবেশ মন্ত্রনালয় ২০০৫ সালে যে সকল এলাকাকে সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করেছেন তার মধ্যে সাতছড়ি জীববৈচিত্র্যময় জাতীয় উদ্যান অন্যতম।
বর্ষাকে বিদায় জানিয়ে মৌসুমী শীতের আগমনে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে পর্যটকদের উপড়ে পড়া ভীড়ে মুখরিত জাতীয় উদ্যান। ৬০০ একর ২৪৩ হেক্টর জায়গাকে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান নামে ঘোষনা করা হয়েছে। এখানে বন্য প্রাণী অবাধ বিচরণ জীব বৈচিত্র্য সমৃদ্ধশালী অপূর্ব সুন্দর ও সবুজ গালিচা মোড়ানো চা বাগান এই স্থানটি হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট ও মাধবপুর উপজেলার অংশ বিশেষে অবস্থিত।
মাধবপুরের ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মুক্তিযোদ্ধা চত্বর থেকে পুরাতন মহাসড়কের হাতের ডানে পূর্ব দিকে যাওয়ার পরই পড়বে এশিয়ার বৃহত্তম সুরমা চা বাগান। এর কিছুক্ষন পরই এই জাতীয় উদ্যানের সাইনবোর্ড চোখে পড়বে। সামনেই রয়েছে টিকেট কাউন্টার। এর দায়িত্বে রয়েছেন একজন কাউন্টার মাস্টার। প্রাকৃতিক সৌর্ন্দয্যে সমৃদ্ধশালী এই বনভূমির দায়িত্বে রয়েছেন একজন রেঞ্জার । তার অধীনে রয়েছে একজন বিট অফিসার।
সৌর্ন্দয্য উপভোগ করার জন্য ৩ টি ট্রেইল হাইকিং রয়েছে। এই উদ্যানে ১৯৭ প্রজাতির জীববৈচিত্রে ভরপুর। ও ১৯০ প্রজাতির গাছপালা ১৪৯ প্রজাতির পাখি, ১৮ প্রজাতির সরীসৃপ প্রাণী, ২৪ প্রজাতের স্তন্যপায়ী প্রাণী, ৬ প্রজাতির উভয়চর প্রাণী। উদ্যানে ২৪ টি চাকমা ও ৫/৬ সাঁওতাল পরিবার রয়েছে। এদের প্রধান পেশা চা বাগানে কাজ করা। তাছারা ও ঘরোয়া পরিবেশে তাঁতের কাজ ও করে থাকে।
আধিবাসী শিশুদের জন্য রয়েছে রেজিষ্ট্রার প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিশাল এলাকা জোরে রয়েছে পাম বাগান। সারি সারি পাম বাগানের নিচে দেখা যায় বানর। দূর থেকে দেখলে মনে হয় প্রকৃতি যেন ডাকছে কাছে যাওয়ার জন্য। সরেজমিনে না দেখলে তা বুঝা যাবে না।
পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য রয়েছে পুলিশ। প্রতি বছর এ উদ্যানে দেশি বিদেশি অনেক পর্যটক আসে। প্রতি দিন পিকনিক করার জন্য দূর দূরান্ত থেকে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এখানে ভিড় জমায়। পর্যটকরা মোবাইল নেটওয়ার্ক না পাওয়ার কারণে অনেক বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। এখানে মোবাইল নেটওয়ার্ক স্থাপনের ব্যবস্থা জরুরী ভিত্তিতে করা প্রয়োজন বলে মনে করেন সচেতনমহল।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply