সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা ও সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, এসব বিধিনিষেধ সবাইকে নিয়ে বাস্তবায়ন করতে হবে এই কারণে যে, যখন সংক্রমণ বেড়ে যাবে, হাসপাতালগুলো রোগীতে ভরে যাবে, তখন সরকারি সার্বিক বিধিনিষেধে যেতে বাধ্য হবে। তখন গণপরিবহন, রেস্টুরেন্ট, দোকানপাট, অফিস-আদালত সব বন্ধ হয়ে যাবে। তাই আংশিক বিধিনিষেধ কার্যকর করে দীর্ঘদিন আমাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখতে হবে।
বিধিনিষেধ চলাকালে দেশের আন্তঃনগর ট্রেনে অর্ধেক যাত্রী পরিবহনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এদিকে পুরনো ভাড়ায় গণপরিবহন পরিচালনা করতে হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। তবে ভাড়া বৃদ্ধি না করলেও মালিকপক্ষ যত আসন তত যাত্রী পরিবহনের অনুমতি চেয়েছে। আগামী শনিবার থেকে এ দুটি সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
যে ১১ দফা বিধিনিষেধ মানতে হবে, সেগুলো হলো– দোকান, শপিং মল ও বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতা এবং হোটেল-রেস্তোরাঁসহ সব জনসমাগমস্থলে বাধ্যতামূলকভাবে সবাইকে মাস্ক পরতে হবে; অফিস-আদালতসহ ঘরের বাইরে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে কোনো ব্যত্যয় রোধ করতে সারা দেশে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে হবে; হোটেল-রেস্তোরাঁয় বসে খাবার গ্রহণ এবং আবাসিক হোটেলে থাকার জন্য করোনার টিকার সনদ প্রদর্শন করতে হবে; ১২ বছরের বেশি সব শিক্ষার্থীকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্র্তৃক নির্ধারিত তারিখের পর টিকা সনদ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না; স্থলবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও বিমানবন্দরসমূহে স্ক্রিনিংয়ের সংখ্যা বাড়াতে হবে। পোর্টে থাকা ক্রুদের জাহাজের বাইরে আসা চলবে না। স্থলবন্দরগুলোতেও আসা ট্রাকের সঙ্গে শুধু চালক থাকবে। কোনো সহকারীকে পোর্টের বাইরে আসতে দেওয়া হবে না। বিদেশগামীদের সঙ্গে বিমানবন্দরে দর্শনার্থী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকবে; ট্রেন, বাস এবং লঞ্চ সক্ষমতার অর্ধেকসংখ্যক যাত্রী নিয়ে চলবে। সংশ্লিষ্ট কর্র্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কার্যকারিতার তারিখসহ সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা জারি করবে। চালক ও সহকারীদের করোনা প্রতিরোধী টিকা নিতে হবে; বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের কভিড টিকা সনদ থাকতে হবে। দেশে এসেই তাদের র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করতে হবে; স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন এবং মাস্ক পরার বিষয়ে মসজিদে জুমার নামাজের খুতবায় সচেতন করবেন ইমামরা। জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করবেন; করোনার টিকা ও বুস্টার ডোজ গ্রহণ ত্বরান্বিত করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় প্রচার এবং উদ্যোগ গ্রহণ করবে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় তাদের সহযোগিতা দেবে; পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উন্মুক্ত স্থানে সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং সমাবেশ বন্ধ থাকবে এবং কোনো এলাকায় বিশেষ কোনো পরিস্থিতি তৈরি হলে স্থানীয় প্রশাসন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নিতে পারবে।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply