মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৬:৩৮ অপরাহ্ন

জমি থেকে বর্জ্য অপসারণ শুরু,স্থায়ী সমাধানের দিকে তাকিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা!

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ১৭ মে, ২০২২

ইমরান আল মাহমুদ,উখিয়া:কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালংয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বর্জ্য ও দূষিত পানি এসে চাষাবাদের জমি চাষের অযোগ্য হয়ে পড়ায় শঙ্কায় পাঁচ বছর অতিবাহিত হয় স্থানীয় কৃষকদের। বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেও মেলেনি কোনো সমাধান। সম্প্রতি কুতুপালং এলাকার কৃষকদের দুর্ভোগ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে টনক নড়ে প্রশাসনের।


মঙ্গলবার(১৭ মে) সকাল ১১টায় কুতুপালংয়ে কৃষকদের দুর্ভোগের চিত্র সরেজমিনে পরিদর্শন করেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ রেজাওয়ান হায়াত। এসময় তিনি কৃষকদের সাথে স্বশরীরে সাক্ষাৎ করে সমাধানের আশ্বাস প্রদান করেন এবং বর্জ্য অপসারণের জন্য দাতা সংস্থাগুলোকে নির্দেশনা প্রদান করেন। 


তবে স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের মধ্যে ভবিষ্যতের স্থায়ী সমাধান নিয়ে শঙ্কা যেনো কাটছেনা। কৃষকরা জানান,”বর্জ্য নিরসনের উদ্যোগ নিলেও ক্যাম্পের দূষিত পানি এসে আবারও শত শত একর চাষাবাদের জমি এবং মাটি চাষের অযোগ্য হয়ে পড়বে। তাতে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তারা। স্থায়ী সমাধানের জন্য ক্যাম্প থেকে আসা দূষিত পানি রোধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিও জানান স্থানীয়রা।”
এদিকে,রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বর্জ্য ও দূষিত পানি এসে কুতুপালং এলাকার ৫০-৬০একর জমি চাষাবাদের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। যা বর্জ্য এবং দূষিত পানির ডোবা হিসেবে রূপ নিয়েছে।


মঙ্গলবার পরিদর্শনে এসে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ রেজাওয়ান হায়াত ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের সাথে কথা বলেন এবং নানা সমস্যার কথা শুনেন। পরিদর্শন শেষে তিনি জানান,” স্বল্পমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার মাধ্যমে কৃষকদের সমস্যার স্থায়ী সমাধান করা হবে। শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও দাতা সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে কৃষকদের ক্ষতির বিষয়টি গভীরভাবে দেখা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের চাষাবাদের জমি থেকে বর্জ্য অপসারণে জাতিসংঘের দাতা সংস্থাগুলো ইতিমধ্যে সাড়া দিয়েছে। আগামী এক সপ্তাহ শতাধিক শ্রমিক বর্জ্য অপসারণে কাজ করবে।

পরবর্তী স্থায়ী সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরের সাথে সমন্বয় করা হবে এবং ধাপে ধাপে স্থানীয়দের ক্ষতির বিষয়টি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করে সমাধানের চেষ্টা করা হবে বলে জানান তিনি।”


পরিদর্শনকালে অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার সামছু-দ্দৌজা নয়ন,উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমরান হোসাইন সজীব,ইউএনএইচসিআর-এর কক্সবাজার অফিস প্রধান(ভারপ্রাপ্ত) লোয়ান ওসমানি,ডাব্লিউএফপি’র কক্সবাজার প্রধান শিলা,সিনিয়র কর্মকর্তা ড্যানিয়েল,ইউএনএইচসিআর-এর লিয়াজো অফিসার ইকতিয়ারুদ্দিন বায়েজিদ,আইএসসিজি’র সৈকত বিশ্বাস,ইউপি সদস্য হেলাল উদ্দিন সহ উর্ধ্বতন কর্মকতাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS