সামনের নির্বাচন সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে সকল পক্ষকে সংস্কার বাস্তবায়ন প্রশ্নে সমঝোতায় পৌঁছানোর কোনো বিকল্প নাই।
১০ই সেপ্টেম্বর ২০২৫, সকাল এগারোটায় রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে গণতন্ত্র মঞ্চের উদ্যোগে “বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণ: সংস্কার বাস্তবায়নের পথরেখা” বিষয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভাপতিত্ব রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী হাসনাত কাইয়ুম এবং সঞ্চালনা করেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক দিদারুল ভূঁইয়া। সভায় গণতন্ত্র মঞ্চের নেতৃবৃন্দ জুলাই সনদে উল্লেখিত সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের পথ পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করেন। সভায় বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল এবং ভাসানী জনশক্তি পার্টির মহাসচিব ডক্টর আবু ইউসুফ সেলিম।
ভাসানী জনশক্তি পার্টির আবু ইউসুফ সেলিম বলেন যে দেশে যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে সেখানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকেই সেই পরিস্থিতি সামাল দিয়ে দ্রুত আগামী নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। গণসংহতি আন্দোলনের আবুল হাসান রুবেল বলেন যে, ঐক্য কমিশনের সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশে একটি গণতান্ত্রিক উত্তরণ সম্ভব হবে কিন্তু সংস্কার বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ঐকমত্যে পৌঁছাতে না পারলে সংস্কার প্রস্তাব টেকসই করা যাবে না।
জেএসডির শহীদউদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন আগামীর রাজনীতি জনমানুষের রাজনীতি না হলে নেপাল বা বাংলাদেশের মত জনগণ ক্ষমতাসীনদের টেনে নামাবে। বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আইনি ভিত্তি না দিতে পারলে সংস্কার নিশ্চিত করা যাবে না। বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির জনাব সাইফুল হক বলেন দেশের যে মেরুকরণ পরিলক্ষিত হচ্ছে সেটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য সৃষ্টির যে প্রচেষ্টা ছিল, বাস্তবায়নের ক্ষেত্রেও সেই প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা প্রয়োজন।
নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন যে সংস্কার বাস্তবায়নের জন্যে যত সময় লাগুক না কেনো আইনি বিবেচনায় বৈধ উপায়ে সেই বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার জন্য চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসনাত কাইয়ুম বলেন যে গণতন্ত্র মঞ্চ মনে করে যে এক ধাপে অনেক সংস্কার বাস্তবায়নের পরিবর্তে ঐকমত্যের ভিত্তিতে ক্রমান্বয়ে সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন করা হলে দেশে স্থিতিশীলতা বজায় রাখা সহজ হবে। তিনি বলেন সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের আইনি বাধ্যবাধকতা বর্তমান সংবিধানকে ব্যাবহার করেই করা সম্ভব।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন জেএসডির সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ মিয়া, ভাসানী জনশক্তি পার্টির মুখপাত্র ও প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুল কাদের,গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদক মন্ডলির সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, নাগরিক ঐক্যের প্রেসিডিয়াম সদস্য জিন্নুর আহমেদ চৌধুরী দিপু, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মীর মোফাজ্জল হোসেন মোস্তাক, জেএসডির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামালউদ্দিন পাটোয়ারী, নাগরিক ঐক্যের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের মিডিয়া বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ হাসিবউদ্দীন হোসেন।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS