শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ০৩:৩৪ অপরাহ্ন

গাজায় ৬০০ দিনে ৫৪ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : বুধবার, ২৮ মে, ২০২৫

 ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি হামলায় একদিনে কমপক্ষে আরও ৭৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও দেড় শতাধিক। এতে করে অবরুদ্ধ এই উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ৫৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

মূলত ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় ৬০০ দিন অতিবাহিত হতে চলেছে এবং এরই মধ্যে লাগাতার গণহত্যামূলক এই আগ্রাসনে নিহতের সংখ্যা ৫৪ হাজার ছাড়াল। মঙ্গলবার (২৭ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

বার্তাসংস্থাটি বলছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের হামলায় কমপক্ষে ৫৪ হাজার ৫৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন—মঙ্গলবার এমন তথ্য দিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে নতুন করে ৭৯ জনের লাশ আনা হয়েছে, আর আহত হয়েছেন আরও ১৬৩ জন। এ নিয়ে মোট আহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২৩ হাজার ১২৯ জনে।

বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, অনেক মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে বা রাস্তায় পড়ে আছেন, কিন্তু উদ্ধারকর্মীরা সেখানে পৌঁছাতে পারছেন না। ফলে বাস্তব চিত্র আরও ভয়াবহ হতে পারে।

গত ১৮ মার্চ থেকে ইসরায়েল ফের নতুন করে গাজায় আক্রমণ শুরু করে। ওই সময় থেকে এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ৯০১ জন নিহত এবং ১১ হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। এই হামলা জানুয়ারিতে ঘোষিত যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তি লঙ্ঘন করে চালানো হয়।

এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক মহলে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ উঠেছে। ২০২৩ সালের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

এছাড়া আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ সংক্রান্ত মামলা চলছে, যা দক্ষিণ আফ্রিকার দাখিল করা একটি অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রহণ করেছে আদালত।

এছাড়া ৬০০ দিনের এই যুদ্ধ গাজায় ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় তৈরি করেছে। পরিস্থিতি এখনো সংকটাপন্ন এবং আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ ছাড়া এই সংকটের অবসান সম্ভব নয় বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS