যুক্তরাষ্ট্র ও ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের মধ্যে সরাসরি আলোচনা গাজা উপত্যকায় অস্ত্রবিরতিকে অকার্যকর ও দীর্ঘায়িত করছে বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা। অন্যদিকে, এই প্রক্রিয়া হামাসকে বৈধতার স্বীকৃতি দেওয়ার একটি লক্ষণ বলেও মনে করছেন কেউ কেউ। খবর এএফপির।
সম্প্রতি ওয়াশিংটন জানিয়েছে, তাদের সঙ্গে হামাসের আলোচনা হয়েছে। গত সপ্তাহান্তে প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতির সময়সীমা অতিক্রান্ত হওয়ার পর ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ ও হামাসের মধ্যে আলোচনায় যখন অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে ঠিক সেই সময়ে ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠী’ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের তালিকাভুক্ত সংগঠন হামাসের সঙ্গে তাদের এই আলোচনা নতুন করে প্রশ্নের উদ্রেক করেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এ বিষয়ে ভূরাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ নিল কুইলিয়াম বলেছেন, সরাসরি আলোচনা বৃহত্তর অস্ত্রবিরতি থেকে সরে আসার লক্ষণ। তিনি বলেছেন, এ ধরনের পদক্ষেপ এই লক্ষণই প্রকাশ করে যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই জটিল ও সময়োচিত আলোচনার ক্ষেত্রে বেশ অধৈর্য হয়ে ওঠেছেন।
চ্যাথাম হাউসের মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আমেরিকা বিষয়ক থিঙ্ক ট্যাংক কুইলিয়াম বলেন, এ ধরনের ছন্নছাড়া পদক্ষেপ ইসরায়েলের স্বার্থকে অবশ্যই অবজ্ঞার সঙ্গে দেখা হচ্ছে। যাই হোক না কেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইতোমধ্যে একাধিক মিত্রকে এই প্রক্রিয়ায় জড়িয়ে ফেলেছেন।
এ বিষয়ে মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক আরেক বিশেষজ্ঞ জেমস ডোরসে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় চলে আসার পর হামাস আরও শক্তভাবে নিজেদের বৈধ মনে করতে পারে। আর এ ঘটনায় ইসরায়েলিরা অবশ্যই শঙ্কিত হয়ে ওঠবে।
ডোরসে বলেন, এখনকার পরিস্থিতি অস্ত্রবিরতির আলোচনাকে আরও জটিলতার দিকে নিয়ে যেতে পারে। কারণ হামাস মনে করতে পারে অস্ত্রবিরতি চুক্তি মেনে চলার দাবি ইসরায়েলের বেঁধে দেওয়া সময়সূচিতে হবে না।
প্রথম ধাপে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতিতে হামাস বেশ কিছু পণবন্দিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েলি কারাগার থেকে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে। দ্বিতীয় ধাপের যুদ্ধবিরতির অন্তর্বর্তী সময়ে হামাস চাইছে একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাতে। তবে এতে ইসরায়েলের সম্মতি মিলছে না। ইসরায়েল চাইছে জানুয়ারির চুক্তিতে মধ্য এপ্রিল নাগাদ বাড়িয়ে নিতে।
যুক্তরাষ্ট্র ও হামাসের মধ্যে সরাসরি আলোচনার খবর সর্বপ্রথম ফাঁস হয় মার্কিন গণমাধ্যম এক্সিওসের মাধ্যমে। গণমাধ্যমটি বলছে, মার্কিন প্রতিনিধি বোয়েলার ও হামাসের মধ্যে গাজায় মার্কিন জিম্মিদের বিষয়ে ও দীর্ঘমেয়াদি অস্ত্রবিরতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply