শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ০৭:০৫ অপরাহ্ন

ইউনিলিভার বাংলাদেশ ও কেওক্রাডং বাংলাদেশ এর উদ্যোগে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে হলো কোস্টাল ক্লিনআপ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড (ইউবিএল) এবং কেওক্রাডং বাংলাদেশ (কেবি) অংশীদারিত্বের মাধ্যমে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে কোস্টাল ক্লিনআপ কর্মসূচির আয়োজন করেছে। এই দ্বীপ পরিচ্ছন্নতা উদ্যোগে ৩৫০ জনেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবী অংশ নিয়ে ১,৫০০ কেজির অধিক পরিমান সামুদ্রিক বর্জ্য দ্বীপটির সৈকত থেকে সংগ্রহ করেন, যা পরবর্তীতে মূল ভূখন্ডে নিরাপদে নিষ্পত্তি করা হয়েছে। সংগৃহীত সামুদ্রিক বর্জ্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল- প্লাস্টিকের খাদ্যপণ্যের মোড়ক, প্লাস্টিকের বোতল, বোতলের ক্যাপ, প্লাস্টিকের ব্যাগ ইত্যাদি।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা ‘ওশান কনজারভেন্সি’ এর বাংলদেশের সমন্বয়ক প্রতিষ্ঠান কেবি বিগত ১৩ বছর ধরে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে সমুদ্র সৈকত পরিচ্ছন্নতার কাজ করে আসছে। সংস্থাটি সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ছাড়াও কক্সবাজার-টেকনাফ উপদ্বীপ অঞ্চলেও বিগত বছরগুলোতে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সামুদ্রিক বর্জ্য সম্পর্কে বৈশ্বিক পর্যালোচনা ও তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে ভূমিকা রাখছে প্রতিষ্ঠানটি। এ বছর সেন্ট মার্টিন দ্বীপে সমুদ্র সৈকত পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচির সঙ্গে ইউনিলিভার সম্পৃক্ত হওয়ায় ক্যাম্পেইনটি নতুন মাত্রা লাভ করেছে। ইতোপূর্বে এ উদ্যোগে ৫ হাজার ৭ শ’ স্বেচ্ছাসেবী সম্পৃক্ত হয়েছেন এবং তারা এ দ্বীপটি থেকে ২৮ হাজার ৫ শ’ কেজির বেশি বর্জ্য সংগ্রহ করেন।

ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেডের কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স, পার্টনারশিপস অ্যান্ড কমিউনিকেশন্স ডিরেক্টর শামিমা আক্তার বলেন, “২০২০ সাল থেকে ইউনিলিভার বাংলাদেশ প্লাস্টিকের টেকসই ব্যবস্থাপনায় অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ২০২২ সাল থেকে বাংলাদেশে আমাদের যত পরিমাণ প্লাস্টিকে মোড়কজাত পণ্য বিক্রি হয়েছে, তারচেয়ে বেশি প্লাস্টিক সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াজাত করছি। তবে আমরা জানি, প্লাস্টিক বর্জ্য দূষণ এমন একটি সমস্যা যা একা সমাধান করা সম্ভব নয়। এজন্য আমাদের প্রয়োজন যৌথ উদ্যোগ, যা পরিবেশের ক্ষতিকর প্রভাব কমাতে এবং সেন্ট মার্টিনের মতো ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশ সংরক্ষণে সহায়ক হবে। এ বছর কেওক্রাডং বাংলাদেশকে সঙ্গে নিয়ে সেন্ট মার্টিন সমুদ্র উপকূল পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি পরিচালিত হয়েছে, যেখানে তরুণ স্বেচ্ছাসেবক ও স্থানীয় জনগণকে যুক্ত করা হয়। এর মাধ্যমে সবার মধ্যে দায়িত্ববোধ তৈরির পাশাপাশি আমাদের পরিবেশ রক্ষার প্রতিশ্রুতিকে গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরা হয়েছে।”

‘ওশান কনজারভেন্সি’ এর ইন্টারন্যাশনাল কোস্টাল ক্লিনআপ এর কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর মুনতাসির মামুন বলেন, “এটি একটি দারুণ বিষয় যে বাংলাদেশ পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ডেল্টা এবং এখানে বিভিন্ন জায়গায় অসাধারণ কিছু সমুদ্র সৈকত রয়েছে। সেন্ট মার্টিন দেশের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। তবে, নানা আর্থ-সামাজিক চ্যালেঞ্জ এই সুন্দর দ্বীপ এবং সৈকতের প্রাকৃতিক ভারসাম্যকে প্রতিনিয়ত হুমকির মুখে ফেলছে। আমরা বিশ্বাস করি ইউনিলিভারের পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে এবং আমাদের এই অংশীদারিত্ব অন্যদেরও বাংলাদেশে ভালো কিছু করার জন্য অনুপ্রাণিত করবে।”

বাংলাদেশের সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস (এসডিজি) বা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের যাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে ইউনিলিভার বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পরিবেশের জন্য প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা একটি স্পর্শকাতর চ্যালেঞ্জ হওয়ায় ইউবিএল ভবিষ্যতেও কার্যকরী অংশীদারিত্বমূলক উদ্যোগ গ্রহণ অব্যাহত রাখবে।

বাংলাদেশে প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ভ্যালু চেইনে অগ্রগামী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে ইউনিলিভার বাংলাদেশ দেশব্যাপী প্লাস্টিক বর্জ্য কমানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি চট্টগ্রামে দেশের সবচেয়ে বড় প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্প পরিচালনা করছে এবং নতুন প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানো এবং পুনরায় ব্যবহারযোগ্য সমাধান তৈরির জন্য উদ্ভাবন চালিয়ে যাচ্ছে। এর পাশাপাশি, ইউনিলিভার দেশজুড়ে ভোক্তাদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য কাজ করছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS