সাভারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলি করে আব্দুল্লাহ আল নোমান (২১) নামে এক শিক্ষার্থীকে হত্যা প্রচেষ্টার ঘটনায় সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামসহ ৪৯৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ শনিবার (২৬ অক্টোবর) সকালে ভুক্তভোগী আব্দুল্লাহ আল নোমান নিজেই বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন। তিনি আশুলিয়ার ভাদাইল মধ্যপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক। আসামিদের বিরুদ্ধে পরস্পরের যোগসাজশে দাঙ্গা হাঙ্গামা, অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করে গুরুতর জখম ও হামলার নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবে রক্তক্ষয়ী অধ্যায়ের মাধ্যমে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের মধ্য দিয়ে পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের। ওইদিন ছাত্র জনতা বিজয় মিছিল নিয়ে থানার দিকে অগ্রসর হলে বাইপাইল মোড়ে বাম চোখসহ দেহের বিভিন্ন অংশে গুলিবিদ্ধ হন শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল নোমান। গুরুতর অবস্থায় তাকে প্রথমে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ভর্তি করা হয়। পরে থাকে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সটিটিউট ও হাসপাতাল (এনআইওএইচ) স্থানান্তর করা হয়।
সাবেক সংসদ সদস্য ও আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ছাড়াও মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন ইয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ শামীম আহম্মেদ সুমন ভুইয়া সুমন, আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক হাসান তুহিন, সাভার উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন খান, আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কবির হোসেন সরকার, যুগ্ম আহ্বায়ক মঈনুল ইসলাম ভূঁইয়া, ঢাকা জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য এনামুল হক মুন্সী, ঢাকা জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য দেওয়ান রাজু আহমেদ প্রমুখ।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক জানান, মামলার বাদী ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশুলিয়ার আমলি আদালতে একটি নালিশী মামলা দায়ের করেন। ম্যাজিস্ট্রেট রাবেয়া বেগম মামলাটিকে ‘এজাহার’ হিসেবে রেকর্ড করার নির্দেশ দিলে থানায় মামলাটি রুজু করা হয়।
ওসি আবু বকর সিদ্দিক বলেন, জুলাই-আগস্ট গণহত্যা ও হত্যা প্রচেষ্টার বেশ কিছু মামলা পুলিশের অপরাধ সংস্থা সিআইডি ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) হস্তান্তর করা হয়েছে। সংস্থা দুটি মামলা তদন্ত করছে। ইতোমধ্যে এসব মামলার বেশ কিছু আসামি গ্রেপ্তার হয়ে রিমান্ডে আছেন। অনেকে আবার রিমান্ডে শেষে কারাগারে আছেন। আত্মগোপনে থাকা আসামিদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে এবং তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply