শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৫৬ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ প্রগতি ইন্স্যুরেন্সের লভ্যাংশ ঘোষণা ক্রাফটসম্যান ফুটওয়্যারের কক্সবাজার বিমানবন্দরকে ‘আন্তর্জাতিক’ ঘোষণার প্রজ্ঞাপন স্থগিত তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ ঢাকা ব্যাংকের মানবতন্ত্র চর্চা ও কবিদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছেন অধ্যাপক ড. মু. নজরুল ইসলাম তামিজী হবিগঞ্জের যুব সমাজকে মাদকের থাবা থেকে রক্ষায় কাজ করছে পুলিশ, পুলিশ সুপার এএনএম সাজেদুর রহমান যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে গ্রেপ্তার ১৫১ বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে ২ বিভাগে ক্যারিয়ার কার্নিভাল ২০২৫: কর্মসংস্থানের পথে কক্সবাজারের তরুণদের নতুন যাত্রা কালিয়ায় শ্রমিকের টাকা নিয়ে নয়ছয়ের অভিযোগ ব্রীজ নির্মাণ কোম্পানি ও ঠিকাদারের বিরুদ্ধে

সিরাজগঞ্জে বিপৎসীমার ৩৮ সে.মি ওপরে যমুনা নদীর পানি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : শুক্রবার, ৫ জুলাই, ২০২৪

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এবং প্রবল বর্ষণে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীতে পানি এখন বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে নদী তীরবর্তী নিম্ন এলাকা বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে।

শুক্রবার  (৫ জুলাই) সকালে সিরাজগঞ্জ হার্ড পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ২৮ মিটার। এ পয়েন্টে নদীর পানি গত ১২ ঘণ্টায় ১৫ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৩৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

অন্যদিকে কাজিপুর মেঘাই পয়েন্টে পানি সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক ১২ মিটার। এ পয়েন্টে নদীর পানি ১২ ঘণ্টায় ২০ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৩২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, গত জুন মাসের প্রথম থেকে যমুনা নদীতে পানি বাড়তো এবং কমতো। কিন্তু গত ২৭ জুন থেকে  যমুনা নদীর পানি ব্যাপকভাবে বেড়ে চলেছে। সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নাজমুল হাসান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

এদিকে কাজিপুরের খাসরাজবাড়ী, তেকানি, চরগিরিশসহ নানাস্থানে দেখা দিয়েছে ভাঙন। আর বন্যার পানি প্রবেশ করেছে প্রায় ২০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় আরও অনেক প্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠান আনুষ্ঠানিকভাবে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা না করলেও কোনো শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে যেতে পারছে না।

বীরশুভগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবু সাইদ জানান, বন্যার পানি আমাদের স্কুলে প্রবেশ করেছে। তারা আসলেও কোনো শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে আসছে না।

কাজিপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার হাবিবুর রহমান জানান, যেভাবে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে আরও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকবে। পাঠদানও বন্ধ করতে হবে। তবে শিক্ষকদের মৌখিক নির্দেশনা দেওয়া আছে ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করার দরকার নেই।

কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সোহরাব হোসেন জানান, বন্যা মোকাবেলায় সার্বিক প্রস্তুতি রয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে এবং প্রাণিসম্পদ অফিস তিনটি মেডিকেল টিম গঠন করেছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র ও মুজিব কেল্লাগুলো।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS