তিন কারণে দেশের মূল্যস্ফীতি বাড়ছে বলে মনে করে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এগুলো হলো স্থানীয় বাজারে কেরোসিন, ডিজেলসহ বিভিন্ন ধরনের জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি; আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্য ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি এবং কোভিডে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রণোদনা ও নগদ সহায়তা দেওয়া। এ ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণেও বিশ্বের দেশে দেশে মূল্যস্ফীতি বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে চলতি অর্থবছরে (২০২১-২২) দেশে গড় মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশে থাকবে বলে মনে করছে এডিবি।
সংস্থাটি বলছে, উচ্চ মূল্যস্ফীতিই এখন অর্থনীতিতে বড় চ্যালেঞ্জ। বহুজাতিক এ দাতা সংস্থা বুধবার (০৬ এপ্রিল) এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক-২০২২ প্রকাশ করেছে। সেখানে মূল্যস্ফীতির চ্যালেঞ্জকে সামনে আনা হয়েছে। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক প্রকাশ উপলক্ষে এডিবির ঢাকা কার্যালয়ের পক্ষ থেকে অনলাইনে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে বাংলাদেশের অর্থনীতির বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন এডিবির সিনিয়র কান্ট্রি স্পেশালিস্ট সুন চ্যাঙ হং।
এ ছাড়া বক্তব্য দেন এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং। এদিকে, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ হিসাবে, গত ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে মূল্যস্ফীতি ছিল ৬ দশমিক ১৭ শতাংশ। কয়েক মাস ধরেই মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের আশপাশেই আছে। এ ছাড়া স্থানীয় বাজারে চাল, তেলসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। এ জন্য নিম্ন আয়ের মানুষকে সুরক্ষা দিতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) সাশ্রয়ী মূল্যে বিভিন্ন নিত্যপণ্য বিক্রি করছে।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply