 
																
								
                                    
									
                                 
							
							 
                    নিজস্ব প্রতিনিধিঃ নবাবগঞ্জ উপজেলায় রাত আর দিন নেই সমানতালে চলছে লোডশেডিং। বিশেষ করে উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় দিনের অধিকাংশ সময় ও রাতে থাকছে না বিদ্যুৎ। ফলে প্রচণ্ড গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে।
এছাড়া ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ে হিমশিম খাচ্ছেন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রোগীরা। ঈদুল ফিতরের উপলক্ষ্যে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বেচাকেনা ও অটোরিকশা চলাচল বন্ধ হওয়ার উপক্রম। স্থানীয় ব্যবসায়ীসহ বিদ্যুৎনির্ভর প্রতিষ্ঠানগুলো। সম্প্রতি চার্জার ফ্যান কেনায় ইলেকট্রনিকস দোকানগুলোতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন ক্রেতারা।
বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা যায়, ইফতার সেহেরি ও তারাবিহ সময় লোডশেডিংয়ের আওতামুক্ত। কিন্তু দিন ও রাতের অন্যান্য সময় বাধ্য হয়ে লোডশেডিং দিচ্ছে।
সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার অধিকাংশ এলাকায় লোডশেডিংয়ের কারণে স্থানীয় এজেন্ট ব্যাংক, এনজিও অফিস, ফটোকপি ও সাইবার ক্যাফেগুলোর কার্যক্রম বন্ধ থাকছে। এতে করে গ্রামীণ জনপদের লোকজন তাদের আর্থিক লেনদেনসহ অতি প্রয়োজনীয় কাজে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন।
এদিকে লোডশেডিং বৃদ্ধির কারণে ব্যাটারিচালিত ফ্যান ক্রয়ে ইলেকট্রিক পণ্যের দোকানে প্রচুর ভিড় লক্ষ করা যায়। বাজারের ইলেকট্রিক পণ্য ব্যবসায়ী বলেন, প্রচণ্ড গরমে মানুষ টিকতে পারছে না। ফলে বিদ্যুৎবিহীন ব্যাটারিচালিত চার্জার ফ্যানের বিক্রি বৃদ্ধি পেয়েছে।
এলাকার ইরি প্রজেক্টের নলকূপের মালিক জানান, কয়েক দিন ধরে বিদ্যুৎ অস্বাভাবিক লোডশেডিংয়ের কবলে ইরি বোরো ধানের সেচের পানি সরবরাহের করা যাচ্ছে না। ফলে হুমকির মুখে পড়তে পারে ইরি বোরো ধান।
গ্রামের এক মহিলা জানান, রাত-দিনে প্রায় ৮-১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না। ফলে ফ্রিজে রাখা বিভিন্ন খাদ্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
লোডশেডিংয়ের বিষয়ে বিদ্যুৎ অফিসের এক কর্মকর্তা জানান, বিদ্যুতের বরাদ্দ কম থাকায় সারা দেশের মতো নবাবগঞ্জে লোডশেডিং হচ্ছে। তবে আমরা ইফতার, সেহেরি ও তারাবিহ নামাজের সময় লোডশেডিংয়ের আওতামুক্ত রাখতে পারছি। আমরা সমস্যার সমাধানে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু আমাদের চাহিদার তুলনায় সরবরাহ অনেক কম থাকায় নির্দিষ্ট সময় পরপর লোডশেডিংয় দিতে হচ্ছে।
 
                                 
									Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply