রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৫১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
Price Sensitive Information of Meghna Petroleum Limited পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে বঙ্গজ প্রথম প্রান্তিক প্রকাশ করেছে মতিন স্পিনিং চুয়াডাঙ্গায় অবৈধ সার জব্দ: ব্যবসায়ীর এক মাসের জেল আন্তর্জাতিকমানের ওয়ালটন ক্যাবলস বাজারজাতের অনুমোদন দিলো মালদ্বীপের ইউটিলিটি রেগুলেটরি অথরিটি নড়াইলের কালিয়ায় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে বিএনপির বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভা ৪র্থ সনি-স্মার্ট জাতীয় সিতোরিউ কারাতে প্রতিযোগিতা-২০২৫, ১৬ স্বর্ণপদক পেয়ে রানার আপ স্মার্ট স্পোর্টস একাডেমি জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট দিয়ে সরকারের বৈধতা নিশ্চিত করতে হবে: জাতীয় ঐক্য জোটের নেতৃবৃন্দ পেঁয়াজের দামে লাগাম টানতে আমদানির সুপারিশ করেছে বিটিটিসি গত ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গুতে হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮৩৪ জন, তবে মৃত্যু হয়নি কারো

যুদ্ধমুক্ত পৃথিবী গড়ে তোলার জন্য বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টির আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : রবিবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টির আহ্বায়ক এম এ আলীম সরকার এক বিবৃতিতে বলেছেন, তথ্যপ্রযুক্তি ও জীবপ্রযুক্তি যেভাবে  জনজীবনের বিস্তৃতি লাভ করেছে এবং বিজ্ঞান প্রযুক্তির আরও  কোনো কোনো  শাখা আবিষ্কার উদ্ভাবন যেভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে তাতে গোটা পৃথিবীব্যাপী মানুষের তাতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইনকানুনের সর্বজনীন কল্যাণে কিছুটা সংস্কার করা হলে পৃথিবীর  সর্বত্রই সম্মানজনক জীবনযাপন সম্ভব হবে।

কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় পৃথিবীর সব রাষ্ট্রেই ক্ষমতাশীলরা ও ধনিক- বনিকেরা এ ধারায়  চিন্তা ও কাজ করছে না। তারা আরও  কর্তৃত্ব এবং আরও  ধন সম্পদের মালিক হওয়ার জন্য কাজ করছে। ১৯৯১ সনে সোভিয়েত ইউনিয়ন বিলুপ্তি হওয়ার পর পৃথিবীর সব রাষ্ট্রেই জনসাধারণ  নিস্ক্রিয় এবং নির্জীব। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার  সহযোগী বৃহৎ শক্তিবর্গ  গণবিরোধী বিধি বিধান নিয়ে চলছে। ১৯৯০ এর দশক থেকে বৃহৎ শক্তিবর্গ যুদ্ধ চালাচ্ছে ও যুদ্ধের জন্য অস্ত্র  তৈরী  করছে এবং  যুদ্ধজোট যুদ্ধ লাগানো হচ্ছে এবং যুদ্ধকে দীর্ঘস্থায়ী করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বসনিয়া, হার্জেগভিনিয়া, সার্বিয়া, আফগানিস্তান, ইরাক, লিবিয়ায় ও সিরিয়া, ইউক্রেন ও গাজা উপত্যকায় যে সব যুদ্ধ ও গণহত্যা  চালানো  হচ্ছে এবং  চলছে  সেগুলোর মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিশনভাবে সক্রিয় আছে। যুদ্ধের অস্ত্র তৈরী করে সেগুলোকে নানা দেশে ছড়িয়ে দিচ্ছে। এই সব যুদ্ধের পিছনে  অর্থ  অনেক ব্যয় করছে। এই বাস্তবতায় পৃথিবীব্যাপী মানুষকে ঘুম পাড়িয়ে  রাখার জন্য প্রচার মাধ্যমকে কাজে লাগানো হচ্ছে। আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সক্রিয়তায় মানবতাবিরোধেী যে সব দুস্কর্ম ও যুদ্ধ চালানো হচ্ছে সেগুলির বিরুদ্ধে জনগণের কল্যাণে সক্রিয়  হওয়া দরকার। আমরা যুদ্ধমুক্ত পৃথিবী গড়ে তোলার জন্য প্রচারকার্য চালাচ্ছি। পর্যায়ক্রমে যুদ্ধমুক্ত বাস্তবতা তৈরির জন্য প্রচারকার্য চালাচ্ছি। পৃথিবী এখন পরস্পর প্রতিদন্দী দুই ধারায় বিভক্ত রয়েছে। এক ধারায় আছে  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার সহযোগী বৃহৎ শক্তিবর্গ এবং অপর ধারায় আছে চীন, রাশিয়া ও তার সহযোগী বৃহৎ শক্তিবর্গ। ভারতের অবস্থান, মনে হয় দুটানে আছে। চীন ও রাশিয়া মানবজাতির সামনে  উন্নততর নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা প্রতিষ্টার উদ্দেশ্যে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ও কর্মসূচী প্রকাশ করা একান্ত দরকার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্য  আধিপত্য নিয়ে চলা এবং প্রতিপক্ষকে বিপর্যয়ের মধ্যে  ফেলে নিঃশেষ করে দেওয়া। নানাভাবে যুক্তরাষ্ট্র তার  কর্তৃত্ববাদী কর্মনীতির পরিচয় দিচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে বিশ্বায়নের নামে যেসব কর্মকাণ্ড চালানো হচ্ছে সেগুলো উপনিবেশবাদ সাম্রাজ্যবাদ ও ফ্যাসিবাদেরই নতুন প্রচার। আমরা  দেখছি জাতীয়তাবাদ ও জাতিরাষ্ট্র থাকবে সর্বজনীন গণতন্ত্রের আদর্শ  নির্নয় অবলম্বন করে জাতিরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীন ব্যবস্থাকে পুনর্গঠিত করতে হবে। জাতীয়তাবাদের সম্পূরক আন্তর্জাতিকাবাদ অপরিহার্য। আন্তর্জাতিকতাবাদের জন্য জাতিসংঘকে রাষ্ট্রসংঘ নাম দিয়ে জাতিরাষ্ট্রের মধ্যেকার বিরোধ মিমাংসা এবং পারস্পরিক সহযোগিতা ও সম্প্রীতি প্রতিষ্টা করতে হবে। যুদ্ধের সম্ভাবনা যাতে বৃদ্ধি না পায় তার জন্য কাজ করতে হবে। বর্তমান জাতিসংঘকে দিয়ে কাজের কাজ অল্পই হচ্ছে। জাতিসংঘকে নতুন পরিকল্পনা  নিয়ে নতুনভাবে প্রনয়ন করতে হবে। সেই ১৯৪৮ সাল থেকে ফিলিস্তিনিদের বাস্তুত্যাগী করে ইউরোপ থেকে ইহুদিদের নিয়ে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। ইসরায়েলিরা নিজেদের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়। গত চার সপ্তাহ ধরে ফিলিস্তিনিদের শেষ করে দেওয়ার জন্য বিমানে আক্রমণ চালাচ্ছে। এর মধ্যে ১০ হাজারের বেশি  ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। তাদের বাড়ীঘর ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমুহ ধ্বংস করা হচ্ছে। এই যুদ্ধ অবিলম্বে  বন্ধ করতে হবে, ফিলিস্তিনিদের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে  এবং ইসরায়েলিদের অবস্থান ন্যায়সঙ্গত ও যুক্তিসঙ্গত পরিসরে সুনির্দিষ্ট করে দিতে হবে। ইউক্রেনে যে যুদ্ধ চলছে  তা আসলে  রাশিয়া  ও  যুক্তরাষ্ট্রের  যুদ্ধ। ইউক্রেনের জনগণ বলির পাঠায় পরিনত হয়েছে। ন্যাটো ও অন্য  সব যুদ্ধজোট বিলুপ্তি করতে হবে। আলাপ আলোচনার মধ্যে দিয়ে রাশিয়া ও ইউক্রেনের বিরোধ মিমাংসা করতে হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS