শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:৪২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
ভূমিকম্পে দেশে বিভিন্ন দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ ঢাকাসহ সারাদেশে ভূমিকম্পের বড় ঝাঁকুনি তুরাগ থানাধীন বেড়িবাঁধ এলাকায় সেনাবাহিনীর অভিযান, রাইফেল, পিস্তল এবং শর্টগান উদ্ধার জলবায়ু সুবিচারের দাবিতে ঢাকায় ধর্মঘট: তরুণ ও শ্রমিকদের জ্বালানি মহাপরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান ও কপ৩০ সম্মেলনে ন্যায্য রূপান্তরের নিশ্চিতের দাবি সম্মিলিত সমমনা জোট-২০২৫ এর আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন ময়মনসিংহের নবাগত জেলা প্রশাসকের সাথে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নেতৃবৃন্দের সৌজন্য সাক্ষাৎ কক্সবাজার-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিকের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা নভেম্বরের প্রথম ১৯ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার চলতি ২০২৫–২৬ অর্থবছরের প্রথম ৪ মাসে (জুলাই–অক্টোবর) রাজস্ব ঘটতি ১৭ হাজার কোটি টাকা সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ দর দরপতনের শীর্ষে

জুলাইয়ে ১ কোটি ৩৬ লাখ কেজি চা উৎপাদন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : সোমবার, ২৮ আগস্ট, ২০২৩
  • ২৩১ Time View

চায়ের ভরা মৌসুম শুরু হয় জুন থেকে। এ সময় তীব্র দাবদাহের কারণে চা উৎপাদন কমে যায় আশঙ্কাজনক হারে। তবে জুলাইয়ে পর্যাপ্ত বৃষ্টি হওয়ায় চায়ের রেকর্ড উৎপাদন হয়েছে। বাংলাদেশ চা বোর্ডের তথ্য পর্যালোচনায় বিষয়টি জানা গেছে।

জুনে দেশের ১৬৮টি চা বাগান ও ক্ষুদ্রায়তন চা বাগানে উৎপাদন হয়েছিল ১ কোটি ৭ লাখ ১৬ হাজার কেজি চা। ২০২২ সালের জুনে উৎপাদন হয়েছিল ১ কোটি ২৫ লাখ ৮৫ হাজার কেজি এবং ২০২১ সালে উৎপাদন হয়েছিল ১ কোটি ৩৩ লাখ ৫৪ হাজার কেজি চা। অর্থাৎ জুনে চা উৎপাদনে পিছিয়ে পড়ায় উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয় দেখা দেয়। তবে জুলাইয়ে ১ কোটি ৩৬ লাখ ৫৪ হাজার কেজি চা উৎপাদনের মাধ্যমে রেকর্ড গড়েছে বাগানগুলো। চলতি মাসেও পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের কারণে ব্যাপক উৎপাদনের প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

চা বোর্ডের সর্বশেষ তথ্যে দেখা গেছে, চলতি বছর দেশে চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১০ কোটি ২০ লাখ কেজি। জুলাই পর্যন্ত উৎপাদন হয়েছে ৪ কোটি ৯৬ হাজার কেজি, যা ২০২২ সালের তুলনায় ১৭ লাখ ৬৬ হাজার কেজি এবং ২০২১ সালের তুলনায় ২৩ লাখ ৩৫ হাজার কেজি বেশি। আগস্ট-অক্টোবর পর্যন্ত বাড়তি চা উৎপাদন হলে নতুন রেকর্ড তৈরি হবে বলে মনে করছেন চা সংশ্লিষ্টরা।

জানতে চাইলে বাংলাদেশীয় চা সংসদের সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ‘‌চলতি বছরের প্রথমার্ধে বিরূপ আবহাওয়ায় চায়ের উৎপাদন অস্বাভাবিক হারে কমে যায়। তবে জুলাই থেকে নিয়মিত বৃষ্টিপাত হওয়ায় উৎপাদন ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে।’ এ ধারা অব্যাহত থাকলে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ভালো হতে পারে বলে মনে করছেন তিনি।

তথ্যমতে, ২০২১ সালে বার্ষিক ৭ কোটি ৭৭ লাখ ৮০ হাজার কেজি লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে চা উৎপাদন হয়েছিল ৯ কোটি ৬৫ লাখ ৬ হাজার কেজি চা। পরের বছর অর্থাৎ ১০ কোটি কেজি লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে উৎপাদন হয়েছিল ৯ কোটি ৩৮ লাখ ২৯ হাজার কেজি। চলতি বছর ১০ কোটি ২০ লাখ কেজি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও বছরের মাঝামাঝি পর্যন্ত অনাবৃষ্টির কারণে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে সংশয় দেখা দেয়।

দেশে জুন-নভেম্বর পর্যন্ত সর্বোচ্চ পরিমাণ চা উৎপাদন হয়। ডিসেম্বর থেকে চায়ের উৎপাদন কমতে শুরু করে। মাঝে এক থেকে দেড় মাস চায়ের উৎপাদন বন্ধ রেখে মার্চ থেকে নতুন করে উৎপাদন শুরু করে বাগান কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ৩ লাখ ৬৪ হাজার কেজি, ফেব্রুয়ারিতে ৪৬ হাজার, মার্চে ২০ লাখ ৫৫ হাজার, এপ্রিলে ৫০ লাখ ৮৯ হাজার এবং মে মাসে উৎপাদন হয়েছিল ৮১ লাখ ৭২ হাজার কেজি চা।

চা-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে বর্তমানে চায়ের চাহিদা নয় থেকে সাড়ে নয় কোটি কেজি। দেশীয় চায়ের পাশাপাশি আমদানির মাধ্যমে কোম্পানিগুলো চায়ের সরবরাহ ব্যবস্থা সচল রাখে। বার্ষিক ৪ শতাংশ হারে চায়ের ভোগ বাড়লেও উৎপাদন আশানুরূপ না বাড়ায় উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থাপনা নিয়ে সংকট কাটছে না। তবে চা উৎপাদনের নতুন নতুন খাত বৃদ্ধিসহ কয়েক বছরের মধ্যে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানোর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে আমদানিনির্ভরতা থেকে চা খাতে বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণতার দিকে যাবে বলে মনে করছেন বাজারসংশ্লিষ্টরা।

বর্তমানে দেশের নিলাম বাজারে গড়ে ২১০-২২০ টাকা কেজি দরে চা বিক্রি হচ্ছে। গত এক মাসের পর বর্তমানে পর্যাপ্ত চা সরবরাহ করছে বাগানগুলো। সরবরাহ বাড়ায় চায়ের দাম কিছুটা কমেছে। যদিও উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদন বাড়লেও নিলামে চায়ের দাম কমছে না। শ্রমিক মজুরি বৃদ্ধি, জ্বালানিসহ উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদন বৃদ্ধি সত্ত্বেও দেশে চায়ের দাম বাড়বে বলে মনে করছেন বাগান কর্তৃপক্ষ। এক্ষেত্রে আশানুরূপ বৃষ্টিপাতের ফলে চায়ের গুণগত মানও ভালো হতে পারে বলে মনে করছেন তারা।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS