রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:১৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
বিজ্ঞান ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা: তারিখ জানাল ঢাবি, কেন্দ্র পরিবর্তন সম্ভব অনলাইনে রিটার্ন বাধ্যতামূলক হওয়ায় ভোগান্তিতে বয়স্ক করদাতারা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হলো ভারতের ভিসা আবেদন কার্যক্রম ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি “রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৬” অর্জন করেছে চাকসুর উদ্যোগে ইসলামী ব্যাংক-চবি’র কর্পোরেট চুক্তি ভৈরবে দুই প্রতিষ্ঠানে আগুনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ওসমান হাদীর খুনিদের ফাঁসির দাবিতে আইএইচআরসি’র প্রতিবাদী সমাবেশ আদালতের আদেশে আজ হাসিনাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে সহযোগিতা করবে জামায়াত আমির চুয়াডাঙ্গায় শহীদ শরীফ ওসমান হাদীর রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া

সঞ্চয়পত্রে নিট বিক্রি কমেছে ৩ হাজার ২৮ কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : বুধবার, ৫ জুলাই, ২০২৩
  • ২৩৩ Time View

সঞ্চয়পত্র খাতে সরকার বেশি সুদ দিতে চায় না। এজন্য বিক্রি কমানোর উদ্যোগ হিসেবে খাতটিতে সুদের হার কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে বিভিন্ন কড়াকড়ি আরোপের কারণে সঞ্চয়পত্র বিক্রিতে ধস নেমেছে। একটি সময় মধ্যবিত্ত পরিবারের আস্থার জায়গা ছিল সঞ্চয়পত্র। চাকরি থেকে অবসরের পর পাওয়া অর্থ কিংবা মধ্যবিত্ত পরিবারের হাতে বাড়তি টাকা থাকলে সেগুলো সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করতো। গত মে মাসে সঞ্চয়পত্রে নিট বিক্রি কমেছে ৩ হাজার ২৮ কোটি টাকা।

জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, সদ্য বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে (জুলাই-মে) যে পরিমাণ সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে, তা দিয়ে গ্রাহকদের আগে বিনিয়োগ করা সঞ্চয়পত্রের সুদ-আসল পরিশোধ করা সম্ভব হয়নি। উল্টো ৩ হাজার ২৮ কোটি টাকা সরকার তার কোষাগার ও ব্যাংকব্যবস্থা থেকে ঋণ নিয়ে শোধ করেছে। যদিও গত মাসে নিট বিক্রি কমেছিলো ৩ হাজার ৫৭৯ কোটি টাকা।

প্রতিবেদনের সূত্র অনুযায়ী, শুধু মে মাসে সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে ৬ হাজার ৬৮০ কোটি টাকার। বিপরীতে একই মাসে মূল ও মুনাফা বাবদ সরকারকে পরিশোধ করতে হয়েছে ৬ হাজার ১২৯ কোটি টাকা। তাতে একই সময় নিট বিক্রির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৫১ কোটি ৭ লাখ টাকা। আগের মাস এপ্রিলে নিট বিক্রি ছিল ৫৮১ কোটি ৭৯ লাখ টাকা।

গেল অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে (জুলাই-মে) ৭৪ হাজার ৭১৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। এর বিপরীতে মুনাফা ও মূল বাবদ পরিশোধ করা হয়েছে ৭৭ হাজার ৭৪৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে এগারো মাসে যা বিনিয়োগ হয়েছে তার চেয়ে ৩ হাজার ২৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা পরিশোধ করেছে সরকার। অর্থাৎ সঞ্চয়পত্র থেকে সরকার কোনো ঋণ পায়নি। উল্টো আগে বিক্রি হওয়া সঞ্চয়পত্রের নগদায়নের চাপে মূল ও মুনাফাসহ ঋণ পরিশোধের পরিমাণ বেড়েছে।

আগে বিক্রি হওয়া সঞ্চয়পত্রের সুদ-আসল পরিশোধের পর যা অবশিষ্ট থাকে, তাকে বলা হয় নিট বিক্রি। ওই অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা থাকে। সরকার তা বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজে লাগায়। এ কারণে অর্থনীতির ভাষায় সঞ্চয়পত্রের নিট বিক্রিকে সরকারের ‘ঋণ’ বা ‘ধার’ হিসেবে গণ্য করা হয়।

এক সময় কোনো স্কিমের মেয়াদ শেষ হলে আবার সেখানেই বিনিয়োগ করতেন বেশিরভাগ গ্রাহক। তবে এখন যাদের সঞ্চয়পত্রের মেয়াদ শেষ হচ্ছে তারা আর নতুন করে এখানে বিনিয়োগ করছেন না। ফলে ঘাটতি তৈরি হচ্ছে। যে কারণে বিক্রির চেয়ে সঞ্চয়পত্রের সুদ-আসল পরিশোধ বেশি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS