আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ঘোষিত বাজেটে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি খাতে যে বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে, তাকে অপ্রতুল মনে করছে বিদেশী উদ্যোক্তাদের সংগঠন ফরেন ইনভেস্টরস’ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফআইসিসিআই)।
আজ বৃহস্পতিবার (১ জুন) রাতে পাঠানো এক বাজেট প্রতিক্রিয়ায় এই অভিমত তুলে ধরেছে সংগঠনটি। এর আগে একইদিন বিকালে অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে আগামী অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন।
এফআইসিসিআই-এর প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়েছে, আগামী অর্থবছরের বাজেটে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭.৫ শতাংশ এবং মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ৬ শতাংশ ধরা হয়েছে। এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা খুবই চ্যালেঞ্জিং।
সংগঠনটি ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়নকেও চ্যালেঞ্জিং মনে করছে। তবে শেষ পর্যন্ত এই এডিপি বাস্তবায়ন করা গেলে তা দেশের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারকে সহায়তা করবে।
এফআইসিসিআই জ্বালানি বিদ্যুৎ খাতের বরাদ্দকে পর্যাপ্ত হিসেবে অভিহিত করেছে। একইসঙ্গে সংগঠনটি সকল খাতে ব্যয়ের গুণগত মান নিশ্চিতে মনোযোগী হবার সুপারিশ করেছে, যা দক্ষতা বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়তা করবে।
বাজেট ঘাটতি মেটাতে ব্যাংক থেকে ঋণ নেওযার যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, তাকে উদ্বেগজনক মনে করছে এফআইসিসিআই। তাদের মতে, এটি তারল্য পরিস্থিতিকে আরও নাজুক করে তুলতে পারে।
করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানোর প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে বিদেশী বিনিয়োকারীদের এ সংগঠন। একইসঙ্গে তারা মনে করছে, উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে এটি পর্যাপ্ত না-ও হতে পারে।
একাধিক গাড়ির মালিকানার ক্ষেত্রে কার্বন কর আরোপের প্রস্তাবকে পরিবেশ সুরক্ষায় এটি ভাল উদ্যোগ বলে অভিহিত করেছে এফআইসিসিআই। তবে করপোরেট প্রতিষ্ঠানকে এই করের বাইরে রাখার সুপারিশ করেছে তারা। এ বিষয়ে তারা বলেছে, করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে তাদের কার্যক্রম পরিচালনার একাধিক গাড়ির প্রয়োজন হয়ে থাকে।
প্রস্তাবিত বাজেটে তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ আয়করের সুবিধা প্রাপ্তির সাথে নগদে লেনদেন না করা সংক্রান্ত জটিল শর্তের অবসায়নের বিষয়ে কিছু উদ্যোগ না থাকায় হতাশা প্রকাশ করেছে এফআইসিসিআই। তারা এ বিষয়টির সমাধান এবং আইপিও’র পাশাপাশি আরপিও (রিপিট পাবলিক অফারিং) এর ক্ষেত্রেও হাসকৃত করের এই সুবিধা দেওয়ার সুপারিশ করেছে।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply