হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের সদর উপজেলাধীন দরিয়াপুর গ্রামে এক নাবালিকাকে অপহরণ পূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব ৯ শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্পের একটি অভিযানিক দল।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, হবিগঞ্জ সদর উপজেলার গোপায়া এলাকার রফিক মিয়ার পুত্র ইমন মিয়া (২২) ও লোকড়া ইউনিয়নের আষেড়া এলাকার কাউসার মিয়া (২১) রবিবার এ তথ্য র্যাব ৯ এর কার্যালয় থেকে নিশ্চিত করা হয়।
জানা যায়, আসামী মো: ইমন মিয়া বাদির মামাতো ভাই ও ইমন মিয়ার আপন শ্যালক হচ্ছে পলাতক আসামি মো: শহিদুল ইসলাম এবং মোঃ কাউসার মিয়া ইমনের ভায়রা মূল আসামি মো: শহিদুল ইসলাম বাদির বাড়ীর পার্শ্ববর্তী গোপায়া বাজারে ৩নং আসামী তাহার ফার্নিচার ব্যবসার দোকানে চাকুরী করিত। সেই সুবাধে শহিদুল ইসলাম বাদির বাড়ীতে মাঝে মধ্যে আসা যাওয়া করত শহিদুল বাদির বাড়ীতে আসা-যাওয়ার সুবাধে
বাদির নাবালিকা ছোট বোন ভিকটিমের সহিত প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। সেই প্রেমের সম্পর্কের ভিত্তিতে মো: শহিদুল ইসলাম ভিকটিমকে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেয়। এতে ভিকটিম রাজি না হয়ে তার ভাইকে বিষয়টি অবগত করে পরে বাদী শহিদুলের পরিবারকে নালিশ প্রদান করেন। এতে শহিদুল ভিকটিমের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২৫ এপ্রিল রাত ৮ টায় ভিকটিম তার নানা বাড়ী থেকে নিজ বাড়ী আসার পথে শহিদুল ও তার সহযোগীদের নিয়ে ভিকটিমের মুখে চেপে ধরে একটি লাইটেস গাড়ীতে করিয়া অপহরন করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে শহিদুল ইসলামের নানা বাড়ী হবিগঞ্জ সদর উপজেলাধীন দরিয়াপুর গ্রামে একটি পরিত্যাক্ত ঘরে মুখ বেঁধে জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করে। ভিকটিম শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে বিগত ৩০ এপ্রিল উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এঘটনায় ভিকটিমের ভাই আহাদ মিয়া বাদী হয়ে থানায় অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
মামলার পর থেকে আসামিকে গ্রেপ্তারে র্যাব অভিযান অব্যাহত রাখে এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৯ এর হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে চাঞ্চল্যকর অপহরণ ও ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামী হবিগঞ্জের লাখাই রোড এলাকায় অবস্থান করছে। প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে অভিযানিক দলটি হবিগঞ্জ বাস স্ট্যান্ড লাখাই রোডের সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে ওই দুইজনকে গত শনিবার রাতে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসা বাদে উক্ত ঘটনার সাথে তারা সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে, পরে তাদেরকে হবিগঞ্জ সদর থানায় হস্তান্তর করা হয় এর মধ্যে মূল অভিযুক্ত শহিদুল পলাতক রয়েছে তাকে গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত আছে।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply