নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বাংলাদেশ বে-সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনার মধ্য থেকে বাদপড়া বিদ্যালয় সমূহ জাতীয়করণের দাবীতে ০৪/০৩/২০২৩ইং তারিখ হইতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে উল্লেখিত কর্মসূচীর জনাব মোঃ মামুনুর রশিদ খোকনের নেতৃত্বে অবস্থান কর্মসূচি চলছে। এতে বাংলাদেশের বিভিন্ন উপজেলা হইতে আশা হাজার হাজার বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক অংশ নেয়।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আ.স.ম জাফর ইকবাল বলেন, ২৬,১৯৩টি বিদ্যালয়ের তালিকা বর্হিভূত বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণের জন্য ২০ ফেব্রুয়ারী ২০১৮ সনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সারসংক্ষেপ চাওয়া হয়। কিন্তু তা এখন পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়নি। তৎকালিন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী জনাব মোস্তাফিজুর রহমান প্রায় ১৩শতটি বিদ্যালয় জাতীয়করণের জন্য জেলা ও উপজেলা যাচাই-বাছাই কমিটিকে নির্দেশনা প্রদান করলেন? তারই আলোকে সকল কার্যক্রম সম্পন্ন হয়ে ঐ বিদ্যালয়গুলো মন্ত্রণালয়ে সংরক্ষিত রয়েছে। আমাদের দাবীকৃত বিদ্যালয়ের মধ্যে অনেক বিদ্যালয়ে পাকা ভবন রয়েছে এছাড়াও শিক্ষকদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণসহ সরকারি সকল কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করে আসছে। আপনাদের মূল্যবান বিবেচনায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঐতিহাসিক ঘোষনার মধ্য থেকে বাদপাড়া বিদ্যালয় সমূহ সঠিক ভাবে উপজেলা/জেলা হইতে জরিপ পূর্বক জাতীয়করণের জোর দাবী জানাচ্ছি।
সিনিয়র সহ সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, আমাদের আন্দোলন শান্তিপূর্ণ আন্দোলন। কোন প্রকার সহিংসতা বা কারো প্ররোচনায় নয়। আমরা দীর্ঘ বছরের পর বছর। বিনা বেতনে বিদ্যালয় সমূহে কর্মরত থেকে এদেশের শিশুদের পাঠদান করিয়ে আসছি। আমাদের অনেক শিক্ষক ইতোমধ্যে চাকুরীর বয়সমীমা হারিয়েছে। বিদ্যালয় সমূহে কর্মরত অধিকাংশ শিক্ষকদের অন্যত্র চাকুরীর আবেদনের বয়স সীমা নেই ।
সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক ফিরোজ উদ্দিন বলেন, ৩৯ জানুয়ারী ২০১৩ তারিখ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সকল উপজেলায় অবস্থিত ২৬,১৯৩টি বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। তার পূর্ববর্তী তিনি ২৭ মে ২০১২ তারিখ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চামেলী হলে উপস্থিত মন্ত্রী মহোদয়গন, সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষক প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে এ সিদ্ধান্ত প্রদান করেন যে, তিন ধাপে বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণ করা হবে। ৩য় ধাপের বিদ্যালয় সমূহের ক্ষেত্রে ২৭ মে ২০১২ তারিখের পূর্বে স্থাপিত ও পাঠদানের অনুমোতিরজন্য আবেদনকৃত বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনায় উল্লেখিত তন ধাপের বিদ্যালয়গুলোর সমপর্যায়ে যোগ্যতা থাকা সয়েও তৎকালিন কিছু কর্মকর্তার গাফিলতির কারণে ৪,১৫৯টি বিদ্যালয় জাতীয়করণের তালিকায় বিজ্ঞান হয়নি। জাতীয়করণ ঘোষনাকালিন পাঠদানের অনুমতি ও রেজিষ্ট্রেশন কার্যক্রম স্থকিছু করায় আমরা বেতন সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হয়েছি। আমাদের দাবীকৃত বিদ্যালয়সমূহ ধারাবাহিকভাবে ২০০৯ ২০২২ সন পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা অংশগ্রহণ করে আসছে। এছাড়া ২৬.১৯৩টি বিদ্যালয়ের তালিকার বাহিরে পার্বত্য অঞ্চলের ইউএনডিপি পরিচালিত ২১০টি বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিশেষ বিবেচনায় জাতীয়করণ করেন। এছাড়াও আরও কিছু সংখ্যক বিদ্যালয় ও পার্বত্য জেলায় জাতীয়করণ থেকে বাদ পড়ে।
সহ-সভাপতি শাহনাজ পারভীন বলেন, আমরা আমাদের সন্তানদের পড়ালেখার খরচ ও ভালো পোষাক কিনে দিতে পারি না। বাবা-মায়ের অসুখে ডাক্তার খরচ যোগাতে পারি না। মানবেতর জীবনের অভিশাপ থেকে মুক্তিপেতেই কেবল আমরা মানবতার জননী, উন্নত রাষ্ট্রের সপ্নদ্রষ্টা, যিনি ২৬,১৯৩টি বিদ্যালয়ের ১,০৪,৭৭২ জন শিক্ষকের মুখে অন্য তুলে দেয়। যিনি ১০ লক্ষ্য রহিঙ্গাকে বুকে টেনে নিয়ে মায়ের মমতায় আশ্রয় দেয়। যিনি নিজ অর্থায়নে পদ্মা সেতুর মত বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেন। তাঁহার দুরদর্শিতার আজ মধ্যম আয়ের এই দেশে ৫২৩,১৯০ কোটি টাকা বাজেট ঘোষনায় আধুনিক বাংলার স্বপ্ন দেখাতে আমাদের প্রেরণা যোগায়। ১৫ দিনে ৫৮ জন অসুস্থ হয়ে পড়েন।
উষ্ণ কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কার্যকরি ও নির্বাহী কমিটির নেতা মোহাম্মদ লিটন, ধরণী মহন রায়, হাফসা, নাছির উদ্দিন, তামান্না, চাঁদ আলী, লায়লু পারভীন, সাবিনা, নুরুল, আব্দুল মান্নান, রায়হান, জুয়েল, সাদিক, মোঃ সালাহউদ্দিন, মাহাবুব, জসিম, শহিউল্লাহ, মনির, দুলাল, কামাল, রতন, আমিনুল ইসলাম, হামিদুল, খায়রুল, কামরুল, নিজাম উদ্দিন, জাকির সহ প্রমুখ।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply