শনিবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:৪১ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
চুয়াডাঙ্গার কৃতি সন্তান ও হোটেল অবকাশ এর মালিক ও অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ অ্যাড: আবু সাঈদ জো: নিপুর ইন্তেকাল খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও দ্রুত সুস্থতা কামনায় দোয়া চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা মাইনুল হাসান সোহেলের বিরুদ্ধে মামলায় ইআরএফ এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ কেটে ফেলো শয়তানি ঘাড়: তাছলিমা আক্তার মুক্তা ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বালিয়াডাঙ্গী-হরিপুর ও কাশিপুর,র্ধমগড় ইউনিয়নে বিএনপির একাধিক প্রার্থী একক প্রার্থীতে উজ্জল স্মভবনা জামায়াতের ইসমাইল হোসেন আল আমিন হত্যার বিচার এই মাটিতেই হবে: শেখ রবিউল আলম ‘ধর্ম সুরক্ষা আইন’ করুন : মোমিন মেহেদী রাস্তাবিহীন ৫৭ লাখ টাকার সেতু—নয় বছরেও সংযোগ সড়ক নেই, গোবর শুকানোর মাঠে পরিণত ব্রিজ কালিয়ায় ৯ম পে-স্কেল বাস্তবায়নের দাবিতে মাবনবন্ধন সিলেটের রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি! নেপথ্যে যুবলীগ নেতা রাণা ও জুলহাস বাহিনী

হাইকোর্ট: প্রাথমিকে কোটার ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ কেন অবৈধ নয়

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ৪৩২ Time View

কোটার ভিত্তিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে ৩৭ হাজার ৫৭৪ জনকে নিয়োগ কেন অবৈধ হবে না ও কোটা প্রথা কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রুলে রিটকারীদের মেধার ভিত্তিতে কেন নিয়োগ দেওয়া হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শামীম সরদার। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

স্বরাষ্ট্র সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, শিক্ষা সচিব ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এর আগে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ দেশের বিভিন্ন জেলার ১৫২ জন চাকরিপ্রার্থী হাইকোর্টে রিট করেন। রিটে প্রাথমিক শিক্ষক বিধিমালায় কোটার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া ও মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ না দেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়।

গত ১৪ ডিসেম্বর দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৩৭ হাজার ৫৭৪ জন।

প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য ২০২০ সালে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তির অনুমোদিত পদ অনুসারে ৩২ হাজার ৫৭৭ পদে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার কথা থাকলেও এটি বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। চলতি বছরের মার্চে মন্ত্রণালয়ের এক সভায় সাংবাদিকদের বলা হয়েছিল, ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নেওয়া হবে। অবসরের কারণে ১০ হাজারের বেশি পদ খালি হওয়ায় পদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

কিন্তু লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা শেষে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশের আগে পদ সংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে সংশয় তৈরি হয়। পদ বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন করেন চাকরিপ্রার্থীরা। চলমান নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সর্বোচ্চ সংখ্যক শূন্য পদে নিয়োগ এবং পদ সংখ্যা বাড়ানোর দাবিতে ৬১ জেলায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে স্মারকলিপিও দেন চাকরিপ্রার্থীরা। গত ২৮ নভেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছিল, প্রকৃত শূন্য পদ যাচাই-বাছাই শেষে ১৪ ডিসেম্বর চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হবে। পরে বিজ্ঞপ্তির অনুমোদিত পদের সঙ্গে পাঁচ হাজার পদ বাড়ানো হয়েছে।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রমের ইতিহাসে এটিই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি। ২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর অনলাইনে আবেদন শুরু হয়। আবেদন করেন ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ প্রার্থী। নিয়োগে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা তিন ধাপে নেওয়া হলেও চূড়ান্ত ফলাফল একবারেই প্রকাশ করা হয়েছে। প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ৪০ হাজার ৮৬২ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৫৩ হাজার ৫৯৫ এবং তৃতীয় ধাপে ৫৭ হাজার ৩৬৮ জন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS