শনিবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:৪৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
চুয়াডাঙ্গার কৃতি সন্তান ও হোটেল অবকাশ এর মালিক ও অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ অ্যাড: আবু সাঈদ জো: নিপুর ইন্তেকাল খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও দ্রুত সুস্থতা কামনায় দোয়া চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা মাইনুল হাসান সোহেলের বিরুদ্ধে মামলায় ইআরএফ এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ কেটে ফেলো শয়তানি ঘাড়: তাছলিমা আক্তার মুক্তা ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বালিয়াডাঙ্গী-হরিপুর ও কাশিপুর,র্ধমগড় ইউনিয়নে বিএনপির একাধিক প্রার্থী একক প্রার্থীতে উজ্জল স্মভবনা জামায়াতের ইসমাইল হোসেন আল আমিন হত্যার বিচার এই মাটিতেই হবে: শেখ রবিউল আলম ‘ধর্ম সুরক্ষা আইন’ করুন : মোমিন মেহেদী রাস্তাবিহীন ৫৭ লাখ টাকার সেতু—নয় বছরেও সংযোগ সড়ক নেই, গোবর শুকানোর মাঠে পরিণত ব্রিজ কালিয়ায় ৯ম পে-স্কেল বাস্তবায়নের দাবিতে মাবনবন্ধন সিলেটের রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি! নেপথ্যে যুবলীগ নেতা রাণা ও জুলহাস বাহিনী

মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ মামলার চার্জশিট

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ১৭৬ Time View

সাবেক মন্ত্রী ও ঢাকার সাবেক মেয়র বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাসের বিরুদ্ধে ২০ কোটি ৭৪ লাখ ৪৭ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদের মামলার চার্জশিট দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) তদন্তকারী কর্মকর্তা ও উপপরিচালক মোহা. নুরুল হুদা আদালতে ওই চার্জশিট দাখিল করেছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে আফরোজা আব্বাস ও মির্জা আব্বাসের নামে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।

এখানে রাজনৈতিক যোগসূত্র আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানে পলিটিক্যাল কোনো যোগসূত্র নেই। দুদক তার নিজস্ব আইন-বিধি মেনে তদন্তকাজ পরিচালনা করে থাকে।

তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, আফরোজা আব্বাসের নামে ২০ কোটি ৭৪ লাখ ৪৭ হাজার ৮২৮ টাকার সম্পদ প্রকৃত পক্ষে তার স্বামী মির্জা আব্বাস উদ্দিন আহমেদের সহায়তায় অর্জন করেছেন। কেননা আফরোজা আব্বাস একজন গৃহিণী, সে হিসাবে ওই সম্পদ অবৈধ উৎসের আয় থেকে অর্জিত বলে প্রমাণ মিলেছে। মির্জা আব্বাস ১৯৯১ সাল থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত সংসদ সদস্য, মন্ত্রী এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ছিলেন। তিনি সংসদ সদস্য, মেয়র ও মন্ত্রী হওয়ার সুবাদে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ উপায়ে ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট পর্যন্ত আফরোজা আব্বাসের নামে ওই টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন।

দুদক আফরোজা আব্বাসকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি বলেছেন, ব্যবসায়ী এমএনএইচ বুলুর কাছ থেকে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা ঋণ ও বাবা-মা এবং বোনের কাছ থেকে ১ কোটি ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা দান হিসেবে নিয়েছেন। তবে ওই টাকাসহ মোট সম্পদের হিসাবের স্বপক্ষে কোনো রেকর্ড দেখাতে পারেননি।

অন্যদিকে আফরোজা আব্বাস একজন গৃহিণী। কিন্তু তার স্বামী মির্জা আব্বাস বিভিন্ন খাতের টাকা স্ত্রীর নামে হস্তান্তর করেছেন। আফরোজা আব্বাস নিজেকে একজন হস্তশিল্প ব্যবসায়ী হিসেবে আয়কর নথিতে উল্লেখ করলেও তার নিজের আয়ের কোনো বৈধ উৎস নেই।

দুদকের তদন্তে অবৈধ ওই সম্পদ হস্তান্তর, রূপান্তর ও অবস্থান গোপনকরণে কৌশল অবলম্বন করার অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় তদন্তকারী কর্মকর্তা আফরোজা আব্বাস ও তার স্বামী মির্জা আব্বাস উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় এবং সেই সঙ্গে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০০৮; মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০০৯ ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।

এর আগে ২০১৯ সালের ৭ জুলাই রাজধানীর শাহজাহানপুর (ডিএমপি) থানায় দুদকের সাবেক সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা মো. সালাহউদ্দিন মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ২০ কোটি ৭৬ লাখ ৯২ হাজার টাকার সম্পদ অভিযোগ আনা হয়েছিল।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS