নিজস্ব প্রতিনিধি: জয়পুরহাটে অনির্দিষ্টকালের জন্য চলা পরিবহন ধর্মঘটে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। সেই সঙ্গে লাগাতার এ ধর্মঘটে দিন আনা দিন খাওয়া পরিবহনশ্রমিকরা পড়েছেন বেকায়দায়। তবে শ্রমিক নেতারা বলছেন, ন্যায্য দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ ধর্মঘট চলবে।
বিএনপি নেতারা বলছেন, শনিবার (৩ ডিসেম্বর) রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশ বিএনপির। তাই সরকার সমাবেশে জনসমাগম ঠেকাতে কৌশলে পরিবহন ধর্মঘট করছে। আর এ কারণে জয়পুরহাটে বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) সকাল থেকে পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়েছে। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন দূর-দূরান্তে যাতায়াতকারীরা। আর পরিবহন ধর্মঘটের অজুহাতে গ্যাস চালিত সিএনজি ও ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার চালকরা নিচ্ছেন দুই থেকে তিন গুন বেশি ভাড়া।
জয়পুরহাট থেকে বগুড়ার উদ্দেশ্য যাওয়া নার্গিস নামে এক যাত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ১০০ টাকার ভাড়ার বিপরীতে আজ খরচ হচ্ছে ৫০০ টাকা। আমি জয়পুরহাট থেকে বগুড়া যাওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়েছি। জানি না কতক্ষণে পৌঁছাতে পারব।
এদিকে যাত্রীবাহী বাস, কাঁচামাল পরিবহনের বাহন ট্রাকগুলোকেও রেখেছে এ ধর্মঘটের আওতায়। ফলে জয়পুরহাট থেকে কোনো ধরনের কাঁচামাল লোড-আনলোড হচ্ছে না। যে কারণে খেটে খাওয়া সাধারণ শ্রমিকরাও পড়েছেন বিপাকে।
জয়পুরহাট কেন্দ্রীয় টার্মিনালে অবস্থান করা যাত্রীবাহী বাসের বাবু নামে এক শ্রমিক অনেকটা ক্ষোভ নিয়ে বলেন, ‘গত দুই দিন থেকে বসে আছি, গাড়ি নিয়ে বের হতে পারছি না। এতে আমাদের কামাই-রোজগার বন্ধ হয়ে আছে।’
জয়পুরহাট শহরের রাজ্জাক নামে এক কুলি বলেন, ‘কী কারণে জানি না এ ধর্মঘট। কিন্তু আমাদের ট্রাকগুলো বন্ধ করে দেয়ায় মালামাল লোড-আনলোড হচ্ছে না। যে কারণে আমরা বেকায়দায় পড়ে গেছি। সকাল থেকে শহরে বসে আছি, এক টাকাও কামাই করতে পারিনি। এভাবে আমরা সংসার চালাবো কী করে?’
এ বিষয়ে জয়পুরহাট জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সড়ক সম্পাদক এস এ জাহাঙ্গীর তুহিন বলেন, ‘মহাসড়কে নছিমন, করিমন, ভটভটি ও অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধ করাসহ ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষেই তারা এ আন্দোলনে নেমেছেন। এখানে বিএনপির সমাবেশর সঙ্গে কোনো সম্পৃক্তা নেই।’
গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হওয়া এ পরিবহন ধর্মঘট কবে নাগাদ শেষ হবে, তা এখনও কোনো মালিক-শ্রমিক সংগঠন নিশ্চিত করেনি।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply