এস এল টি তুহিন ,বরিশাল : আধুনিক সভ্যতার ক্রমঃবিকাশে হারিয়ে যাওয়া দেশের ঐহিত্যবাহী জাতীয় খেলা কাবাডি বা হা-ডু-ডু খেলার অতীত ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা ও পরস্পরের মধ্যে সপ্রীতির বন্ধন অটুট রাখতে ও বর্তমান প্রজন্ম মোবাইল গেমে আসক্ত হয়ে পড়েছে এ ছাড়া শরীরচর্চার জন্য গ্রামবাংলার মোবাইল গেম আসক্তি কমাতে বরিশালের সদর উপজেলা চরবাড়িয়া ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত হয়েছে হা-ডু-ডু খেলা।
তালতলীর বাজার কমিটির যুব সমাজের উদ্যোগে শুক্রবার(২৩ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫ টায় চরবাড়িয়া ইউনিয়নের তালতলীর বাজার বালুর মাঠে হা-ডু-ডু টুনামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ খেলায় অংশগ্রহণ করে খেলায় বিবাহিত ও অবিবাহিতদের পুরুষদল অংশগ্রহণ করে। প্রায় বিলুপ্তির পথে জাতীয় এই খেলাকে ঘিরে দুপুরের পর থেকেই তৈরি হয় উৎসব মুখর পরিবেশ। নারী পুরুষসহ সকল বয়সী দর্শনার্থীর খেলা উপভোগ ছিল লক্ষণীয়।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৩নং চরবাড়িয়ার ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ও তালতলী বাজার কমিটির সভাপতি মোঃ গোলাম কবিরের সভাপতিত্বে ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ৩নং চরবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: মাহাতাব হোসেন সুরুজ, খেলায় উদ্ভোধক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, বরিশাল কাউনিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ এ আর মুকুল,বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা ৪নং শায়েস্তাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: আরিফুজ্জামান মুন্না,৩নং চরবাড়িয়ার ইউনিয়নের ইউপি সদস্য জাহেদুল আলম(তুহিন),৩নং চরবাড়িয়ার ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও বরিশাল বিভাগীয় ফুটবল এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মজিবুল ইক(মজু স্যার) বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক মোঃ লোকমান হোসেন,মো: হারুন আর রশীদ।

প্রধান অতিথি মো: মাহাতাব হোসেন সুরুজ বলেন, আগে দেশের ছেলে মেয়েরা গ্রামীণ খেলাকে প্রাধান্য দিয়ে রোজ বিকেলে স্কুল ছুটির পরে গ্রামীণ খেলায় মাতোয়ারা থাকতো। তাতে খেলার পাশাপাশি তাদের শরীর চর্চা ও মনন বিকাশ ঘটতো। বর্তমানে সেই জায়গা দখল করেছে লুডু, ক্যারাম, ক্রিকেট, টিভি, কম্পিউটার গেম। বাঙালীর আদি ক্রীড়া ও সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে “গ্রামীণ ক্রীড়া ফেডারেশন” গঠন করা দরকার বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি। তাতে আগামী প্রজন্ম আমাদের এসব খেলাকে জানতে পারবে, ভুলে যাবে না আমাদের শত বছরের নিজস্ব ক্রীড়া ও ঐতিহ্যকে।
তালতলী বাজার কমিটির সভাপতি মোঃ গোলাম কবির বলেন, গ্রামবাংলার প্রাচীনতম কাবাডি (হা-ডু-ডু) খেলা আমাদের দেশের জাতীয় খেলা হলেও এখন তা হারিয়ে যেতে বসেছে কালের অতল গহ্বরে। জাতীয় এই খেলার ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে প্রতি বছরের ন্যায় আগামী বছরেও হা-ডু-ডু খেলা আয়োজন করা হবে বলেও জানান তিনি। দেশের জাতীয় খেলাকে টিকিয়ে রাখা ও যুব সমাজকে মাদকের কড়াল গ্রাস থেকে মুক্ত রাখত বিকেলে বেলায় খেলায় আগ্রহী করে তোলার পাশাপাশি গ্রামের মানুষের সাথে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি বাড়াতে প্রতি বছরই আয়োজন করা দরকার। এ ধরনের খেলার আয়োজন করলে দেশে প্রতিভাবান খেলোয়াড়ও তৈরী হবে।
স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক মোঃ লোকমান হোসেন বলেন, গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য ধরে রাখতে ও যুব সমাজকে বিপথগামীতা থেকে রক্ষা করতে এই আয়োজন সত্যিই প্রশংসনীয় উদ্যোগ। ঐতিহ্যবাহী হা-ডু-ডু খেলার আগ্রহ ফেরাতে ও সৃষ্টি করতে সরকারিভাবে উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন। খেলায় বিবাহিতদের দল বিজয়ী হয়। খেলা শেষে বিজয়ী দলের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply