মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ০২:৫৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
মাধবপুর থানার ওসি শহিদ উল্ল্যা জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ নির্বাচিত ইউনিয়ন ব্যাংকে রয়েছে আকর্ষণীয় বিশেষ আমানত প্রকল্প ভিভো ভি৬০ লাইট: ছবি এখন শিল্পের ক্যানভাস রবি এলিট সদস্যদের ফ্যাশন অভিজ্ঞতা উন্নত করতে এপেক্স ফুটওয়্যারের সঙ্গে অংশীদারিত্ব চুয়াডাঙ্গায় বিএনপি-সনাতন ধর্মাবলম্বীসহ ১০৫ জনের জামায়াতে যোগদান সেমস-গ্লোবালের আয়োজনে ১৩–১৫ নভেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী ৩০তম বিল্ড সিরিজ, ২৭তম পাওয়ার সিরিজ ও ওয়াটার এক্সপো ২০২৫ স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব সংবিধানের চার মূলনীতি সুরক্ষা ও দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের আবারও বেড়েছে স্বর্ণের দাম কালিয়া ভিডব্লিউবি কার্ড বিতরণে ব্যপক অনিয়মের অভিযোগ, ইউপি সদস্যের স্ত্রীও খাচ্ছেন দুস্থদের চাউল রাঙামাটিতে এসআইসিআইপি, বাংলাদেশ ব্যাংক ও ট্রাস্ট ব্যাংকের উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সমাপ্তি

চা শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে কাঁদলেন প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২

চা শ্রমিক রীতা পানিকা ও সোনা মনির কথা শুনে আবেগে কেঁদে ফেললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর কথা শুনে কাঁদলেন চা শ্রমিকরাও।

শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার পাত্রখোলা চা বাগানের শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

চা শ্রমিক রীতা পানিকা প্রথমে চা শ্রমিকদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে সালাম জানান। তিনি মজুরি বৃদ্ধি করায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।

এসময় অশ্রুসিক্ত নয়নে রীতা পানিকা বলেন, প্রধানমন্ত্রী, আমরা সবসময় আপনার কথা ভেবে এসেছি এবং ভেবে যাব। আমরা জানি, আপনার বাবা শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের দেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন। সেই স্বাধীনতা নিয়ে আমরা বেঁচে আছি। আমরা চাই আপনার বাবার মতো আপনিও কোনোদিন আমাদের কাছ থেকে সরে যাবেন না। আপনি আমাদের কাছে চিরজীবী থাকবেন। আমরা চা শ্রমিকরা যে কষ্টে আছি সেটা আপনি দেখেছেন, এজন্য আপনাকে কোটি কোটি ধন্যবাদ। আপনাকে আমাদের কমলগঞ্জ উপজেলায় এক কাপ চায়ের দাওয়াত দিচ্ছি। আপনি আমাদের সঙ্গে কথা বলছেন। আপনাকে আমরা দেখছি, এটা যে আমাদের জন্য কত আনন্দের সেটা মুখের ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। এসময় রীতা পানিকা কোনো ভুল-ক্রটি হলে ক্ষমা চান।

প্রধানমন্ত্রী আবেগে অশ্রুসিক্ত চোখে বলেন, আপনারা ক্ষমা চাইবেন কেন। আপনারা যেটা করেছেন সেটা বাঁচার তাগিদে করেছেন। আমি সেটা বুঝি। এজন্য আগে আমি মালিকদের সঙ্গে বসেছি, এখন আপনাদের সঙ্গে বসলাম।

চা শ্রমিক সোনা মনি বলেন, আমি আপনার ওপর খুশি আছি। আগে ১২৯ টাকা পেতাম এখন ১৭০ টাকা পাই মা। আমাদের কোনো অভাব নাই। আপনি সব করে দিয়েছেন। আপনি আমাদের একটা সুবিধা করিয়া দিবেন যাতে পেট ভরিয়া খেতে পারি। এসময় তিনি বাগানের স্কুলগুলো সরকারি করার দাবি জানান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমার বাবা নাগরিকত্ব দিয়েছেন। আমি সবাইকে ঘর করে দেব। ছেলেমেয়ে নিয়ে যাতে ভালোভাবে থাকতে পারেন সেটা করে দেব। পরে প্রধানমন্ত্রী চা বাগানের ঐতিহাসিক ঝুমুর নাগ দেখেন এবং প্রশংসা করেন।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস শহীদ, মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য নেছার আহমদ, জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া প্রমুখ।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS