বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৫৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
‘মার্চ টু ইন্ডিয়ান হাইকমিশন’ আজ, আয়োজন জুলাই ঐক্যের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নরেন্দ্র মোদির কুশপুত্তলিকা পোড়ানো টিসিবির পরিবেশক নিয়োগ শুরু হলো ৩৬ জেলায় বিএনপির প্রস্তুতি শেষ, তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনের অপেক্ষা নির্বাচনের আগে সহিংসতা ও চোরাগোপ্তা হামলার মাধ্যমে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চলছে: প্রধান উপদেষ্টা আলমডাঙ্গায় জামায়াতের উদ্যোগে বিজয় দিবস উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার বিজয় র‌্যালী অনুষ্ঠিত মহান বিজয় দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে বাংলাদেশ গণমুক্তির পার্টি (বিজিপি)’র শ্রদ্ধা নিবেদন নরসিংদীর শিবপুর প্রশাসন এর উদ্যোগে বিজয় দিবস পালিত ময়মনসিংহে সমাজ রূপান্তর সাংস্কৃতিক সংঘের নানান কর্মসূচিতে বিজয় দিবস পালন

চুয়াডাঙ্গায় পূর্ব শত্রুতার জেরে আপন দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা, আহত ১

মোঃ আব্দুল্লাহ হক
  • আপডেট : শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৭ Time View
মোঃ আব্দুল্লাহ হক, চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার উথলী গ্রামে পূর্ব শত্রুতা ও রাজনৈতিক কোন্দলের জেরে প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আপন দুই ভাই নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন উথলী গ্রামের বড় মসজিদ পাড়ার বাসিন্দা মৃত খোদাবক্স মণ্ডলের ছেলে আনোয়ার মিন্টা মিয়া (৬০) ও তার ছোট ভাই হামজা আলী (৪৫) এই ঘটনায় তাদের আরেক ভাই রাজ্জাক গুরুতর আহত হয়েছেন।
শনিবার সকাল আনুমানিক ৮টার দিকে আনোয়ার হোসেন মিন্টা ও হামজা , রাজ্জাক তিন ভাই গ্রামের ৭২ নং ব্রীজের কাছে কৃষি কাজ করছিলেন। নিহতদের স্বজনদের অভিযোগ, এ সময় যুবদল ও বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ৮ থেকে ১০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলাকারীরা ধারালো অস্ত্র, যেমন দা এবং হাসুয়া, দিয়ে দুই ভাইকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। একই সময়ে হামলাকারীদের আক্রমণে রাজ্জাকও আহত হন।
স্থানীয় লোকজন রক্তাক্ত আনোয়ার হোসেন মিন্টা ও হামজার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে সেখানে তাদের মৃত্যু হয়।অপর আহত রাজ্জাককে জীবননগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে এবং তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
নিহতদের স্বজনরা জানান, দুই পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। প্রায় চার মাস আগে গরু কেনাবেচা নিয়ে তাদের মধ্যে একটি বিবাদ শুরু হয়। এই বিরোধ মীমাংসার জন্য স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সালিশ বৈঠক হলেও কোনো সমাধান হয়নি। পরে দুই পক্ষই জীবননগর থানায় একে অপরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে, যা এখনো চলমান।
নিহতদের স্বজন রমজান জানান, বিরোধের জেরে কয়েক মাস আগে হামলাকারীরা মিন্টা ও তার পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা চালিয়েছিল। তখন তারা যশোর থেকে চিকিৎসা নিয়ে ফিরেছিলেন। কিন্তু আজকের এই হামলা ছিল পূর্বপরিকল্পিত। নিহতদের দুলাভাই ইসলামের অভিযোগ, তাদের তিন শ্যালকের ওপর হামলাকারী স্থানীয় নিজাম, বিপুল, স্বপন, তুতা, জুয়েল, হিমেল, সাইফুলসহ তাদের দলবল। তিনি আরও উল্লেখ করেন, হামলাকারীদের মধ্যে স্বপন ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি।
নিহতদের পরিবারের দাবি, তাদের রাজনৈতিক পরিচয়ই এই হামলার মূল কারণ। তারা আওয়ামী লীগকে সমর্থন করতেন এবং এটাই তাদের ‘অপরাধ’ ছিল।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের হাসপাতালের ইএমও ওয়াহিদ আহমেদ রবিন জানান, সকাল ১০টার দিকে হাসপাতালে আনার পর তারা হামজাকে মৃত অবস্থায় পান। মিন্টাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হলেও, ১০টা ৫০ মিনিটে তারও মৃত্যু হয়।
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মামুন হোসেন বিশ্বাস জানিয়েছেন, খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তিনি বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। আমরা হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি।’ এই ঘটনার পর থেকে উথলী গ্রামে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে এবং যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS