মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:৩৮ পূর্বাহ্ন

আরপিও সংস্কার চূড়ান্ত করতে সভায় বসেছে ইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট, ২০২৫

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংস্কারের একগুচ্ছ সুপারিশ চূড়ান্ত করতে বৈঠকে বসেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) নির্বাচন ভবনে সকাল ১১টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে এই সভা শুরু হয়। 

এতে চার নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ, তাহমিদা আহমদ, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ ও ইসি সচিব আখতার আহমেদসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও উপস্থিত রয়েছেন।

জানা যায়, রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের প্রস্তাব রয়েছে সভার আলোচ্যসূচিতে।

নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ বলেছেন, কমিশন সভায় আরপিও সংশোধন অধ্যাদেশের প্রস্তাবিত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করে চূড়ান্ত করা হতে পারে। পাশাপাশি আরপিওর সঙ্গে সমন্বয় রেখে আচরণ বিধিমালাও চূড়ান্ত করা হতে পারে।

এদিকে আরপিও সংশোধনের জন্য সংস্কার কমিশনের সুপারিশসহ একগুচ্ছ প্রস্তাব পর্যালোচনা করা হয়েছে। ছোটোখাটো সংস্কারসহ প্রায় তিন ডজন সংশোধন থাকতে পারে। প্রবাসীদের পোস্টাল ব্যালটের বিষয়টিও যুক্ত করা হবে এ সংশোধনীতে। এছাড়া ভোটের প্রচারে এআই এর অপব্যবহার রোধে আচরণবিধিতে বিধিনিষেধ যুক্ত করা হতে পারে।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন বলেছে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হবে তাও আরপিওতে যুক্ত করা হতে পারে। একইসঙ্গে কমিশন আইনি সংস্কারের প্রস্তাবে অনুমোদন দিলে তা সরকারের কাছে পাঠাবে ইসি সচিবালয়।

নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাব চূড়ান্ত হলে আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য পাঠানো হবে। এরপর তা উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। সরকারের সায় পেলে আরপিও সংশোধন অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হবে।

ইতোমধ্যে সীমানা আইন সংশোধন অধ্যাদেশ, ভোটার তালিকা সংশোধন অধ্যাদেশ, ভোটকেন্দ্র স্থাপন নীতিমালা, স্থানীয় পর্যবেক্ষক নীতিমালা, বিদেশি পর্যবেক্ষক ও গণমাধ্যম নীতিমালা, পর্যবেক্ষক সংস্থা নীতিমালা জারি ও আবেদন আহ্বান করা হয়েছে।

ইসি সচিব সচিব আখতার আহমেদ বলেন, আরও তিনটি আইন-বিধি আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ উইংয়ে ভেটিংয়ের অপেক্ষায় রয়েছে। নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা সংশোধন, নির্বাচন কর্মকর্তা বিশেষ বিধান সংশোধন ও ইসি সচিবালয় আইন সংশোধন ভেটিং শেষে উপদেষ্টা পরিষদে উপস্থাপন করা হবে।

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে রোজা শুরুর আগে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে বুধবার নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়।

প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দেওয়ার পরদিন তার দপ্তর থেকে এ চিঠি দেওয়া হয়। আর এর মধ্য দিয়ে নির্বাচন আয়োজনের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ জানানোর আনুষ্ঠানিকতা সারা হয়।

এখন নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট দিনতারিখসহ তপশিল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। ডিসেম্বরের শেষার্ধ্বে এই তপশিল ঘোষণা করা হতে পারে বলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন ইতোমধ্যে ইঙ্গিত দিয়েছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Comments are closed.

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS