বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:৪২ অপরাহ্ন

গাজা উপত্যকা দখল করবে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ড দখল করার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র গাজা উপত্যকা দখল করবে এবং সেখানকার মালিক হবে।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক প্রেস কনফারেন্সে তিনি এই ঘোষণা দেন। প্রয়োজনে গাজা উপত্যকায় মার্কিন সেনা পাঠানোরও ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান এই প্রেসিডেন্ট।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এবং আনাদোলু।

রয়টার্স বলছে, যুক্তরাষ্ট্র গাজা উপত্যকা দখল করবে এবং সেখানকার মালিকানা নেবে বলে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবার জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “একই লোক” (গাজার) পুনর্নির্মাণ এবং জমি দখলের দায়িত্বে থাকা উচিত নয়।

পৃথক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা আনাদোলু বলছে, গাজার বাইরে ফিলিস্তিনিদের স্থায়ী পুনর্বাসনের ইঙ্গিত দেওয়ার পরপরই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবার বলেছেন, “যুক্তরাষ্ট্র গাজা উপত্যকা দখল করবে।”

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সাথে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র গাজা উপত্যকা দখল করবে এবং আমরা এটি নিয়ে কাজও করব।”

ট্রাম্প বলেন, “আমরা এটির (গাজার) মালিক হবো এবং সেখানকার সমস্ত বিপজ্জনক অবিস্ফোরিত বোমা এবং অন্যান্য অস্ত্র নির্মূল করব, ভূখণ্ডটি সমতল করব এবং ধ্বংস হওয়া বিল্ডিংগুলো থেকেও আমরা মুক্তি পাবো, এগুলোকে সমতল করব (এবং) সেখানে এমন অর্থনৈতিক উন্নয়ন করব যা ওই এলাকার মানুষের জন্য প্রচুর চাকরি এবং আবাসন সৃষ্টি করবে।”

যুক্তরাষ্ট্র গাজা উপত্যকায় সেনা পাঠাবে কিনা জানতে চাইলে তিনি জবাব দেন: “যদি প্রয়োজন হয়, আমরা তা করব।”

তিনি বলেন, “আমরা সেই অংশটি দখল করতে যাচ্ছি। আমরা এটির উন্নয়ন করতে যাচ্ছি, হাজার হাজার কর্মসংস্থান তৈরি করতে যাচ্ছি, এবং এটি এমন কিছু হবে যা সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য খুব গর্বিত হতে পারে।”

ট্রাম্প আরও বলেছে, তিনি গাজা স্ট্রিপের “দীর্ঘমেয়াদী মালিক” হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রকে দেখেন।

মার্কিন রিপাবলিকান এই প্রেসিডেন্টের ভাষায়, “আমি অনেক মাস ধরে এটি খুব ঘনিষ্ঠভাবে অধ্যয়ন করেছি, এবং আমি একে প্রতিটি ভিন্ন কোণ থেকে ভেবে দেখেছি, এবং এটি খুব, খুব বিপজ্জনক জায়গা, এবং এটি কেবল আরও খারাপ হতে চলেছে। এবং আমি মনে করি, এই ধারণাটি অসাধারণ হয়েছে এবং আমি নেতৃত্বের সর্বোচ্চ স্তর থেকেই এই কথা বলছি এবং যদি যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা ও শান্তি আনতে সাহায্য করতে পারে, আমরা তা করব।”

এর অর্থ তিনি ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানকে সমর্থন করেন না কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন: “এর অর্থ দুই-রাষ্ট্র বা এক-রাষ্ট্র বা অন্য কোনো রাষ্ট্র সম্পর্কে কিছু নয়। এর মানে হল আমরা চাই। মানুষকে জীবনে সুযোগ দিন। তারা জীবনে কখনো সুযোগ পায়নি কারণ গাজা স্ট্রিপ সেখানে বসবাসকারী মানুষের জন্য একটি নরকের গর্তে পরিণত হয়েছে।”

ফিলিস্তিনিরা চলে গেলে গাজায় কারা বাস করবে এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প জবাব দেন: “বিশ্বের মানুষ। আমি মনে করি আপনি এটিকে একটি আন্তর্জাতিক, অবিশ্বাস্য জায়গায় পরিণত করবেন। আমি মনে করি গাজা স্ট্রিপের সম্ভাবনা অবিশ্বাস্য। আমি মনে করি সমগ্র বিশ্ব, সারা বিশ্বের প্রতিনিধিরা সেখানে থাকবেন, এবং তারা সেখানে বাস করবেন….ফিলিস্তিনিরা সেখানে বাস করবে। অনেক মানুষ সেখানে বাস করবে।”

ট্রাম্প আরও বলেন, গাজা উপত্যকা “রিভেরা অব দ্য মিডল ইস্ট” হয়ে উঠবে। তিনি বলেন, “আমাদের কাছে এমন কিছু করার সুযোগ রয়েছে যা অসাধারণ হতে পারে।”

অন্যদিকে নেতানিয়াহু বলেছেন: “আমরা যেমনটা আলোচনা করেছি, মিস্টার প্রেসিডেন্ট, আমাদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে এবং আমাদের অঞ্চলে শান্তি আনতে, আমাদের কাজ শেষ করতে হবে। ইসরায়েলকে নিশ্চিত করতে হবে যে- “গাজা আর কখনও ইসরায়েলের জন্য হুমকি হয়ে উঠবে না।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS