গেল বুধবার শারজাহর তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি থাকলেও কুপোকাত দশা হয়েছে বাংলাদেশি ক্রিকেটার ও ম্যাচ কাভার করতে যাওয়া সাংবাদিকদের। মুঠোফোনে বেগতিক অবস্থার কথা জানিয়ে এক গণমাধ্যমকর্মী আক্ষেপও প্রকাশ করেছেন। তবে তার ক্ষতটা বেশি ছিল নাজমুল হোসেন শান্তদের হার নিয়ে। এভাবে হারলো বাংলাদেশ! কেবল গণমাধ্যমকর্মী নন, বাংলাদেশের প্রত্যেক ভক্ত হতভম্ব হয়েছেন টাইগারদের হার দেখে।
২ উইকেটে ১২০ রান তুলে ফেলার পরে ২৩৬ রানের লক্ষ্য পার করা যায় না, মানতেই কষ্ট হচ্ছে সকলের। ১১ রান তুলতে ৭ উইকেটের পতন, এর থেকে মহাপতন আর কী আছে! অবশ্য ক্রিকেটকে বলা হয় গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা। এই অনিশ্চয়তা বাংলাদেশের ক্ষেত্রেই বেশি লক্ষ্য করা যায়। তা না হলে বারবার জীবন পাওয়া শান্ত ও মেহেদী হাসান মিরাজ কেন একটা কার্যকরী ইনিংস খেলতে পারবেন না। কেন সাত ব্যাটার মিলে ১১ রানের মধ্যে আউট হবেন? এসব প্রশ্নের উত্তর অজানা।
এ দিকে প্রথম ওয়ানডে হারের পরে মুশফিকুর রহিমের চোটের খবর তীরের মতো বিঁধেছেন। অস্বস্তির মধ্যে স্বস্তির খবর, ভিসা জটিলতায় ভুগতে থাকা নাসুম আহমেদ ও নাহিদ রানা পেয়েছেন ভিসার দেখা। দলের সঙ্গে যোগ দিতে তারা গতকাল ঢাকাও ছেড়েছেন। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে পরিবর্তন আনার আভাস তারা দিয়েছেন। শারজায় যেতে না পারলেও মিরপুরে চালিয়ে গেছেন অনুশীলন। সেই পরিশ্রমকে কাজে লাগাতে চান।
নতুন নিয়োগ পাওয়া সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ক্রিকেটারদের সমস্যা ধরে ধরে কাজ করার চেষ্টা করছেন। নাসুম-রানা শারজায় যাওয়ার আগে সালাউদ্দিনের দীক্ষাও নিয়েছেন। পরপর দুই সিরিজ হারের পরে এবার তৃতীয় সিরিজ হারের শঙ্কায় টাইগার বাহিনী। আগামীকালের ম্যাচটি ফসকে গেলেই আরেকটি ধবলধোলাইয়ের শঙ্কা আসবে সামনে। তাপে চাপের চরমতম পর্যায়ে রয়েছেন শান্তরা। মাঠের বাইরের বিভিন্ন ইস্যু আর এই চাপে পুরো দল এখন বিধ্বস্ত। সেই জায়গা থেকে উদ্ধার করার জন্য কে হাল ধরবেন, সেটিই এখন সময়ের অপেক্ষা।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply