বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ১১:২২ পূর্বাহ্ন

সিলেটে প্রতিনিয়ত বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ১৩৫ Time View

সিলেট প্রতিনিধি: সিলেটে প্রতিনিয়ত বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। সাধারণ মানুষের ধারণা ছিলো দেশের সরকার পরিবর্তন হলে নিত্যপণ্যের দাম কমবে। সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর থেকে বরং প্রতিনিয়ত বাড়ছে বাজার মূল্য।

তবেই নিত্যপণ্যের অস্বস্তি আগের মতো রয়ে গেছে। পণ্যের দাম বাড়ছেই।ফলে স্বস্তি ফিরে আসেনি স্বল্প আয়ের মানুষের জীবনে। আলু-পেঁয়াজ-মরিচসহ অতি প্রয়োজনীয় জিনিসই এখন বছরের অন্য সময়ের চেয়ে বেশ চড়া।

সোমবার বাজার ঘুরে দেখা  গেছে পেঁয়াজ-আলুর মতো অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমেনি। সবজি ও মুরগির দাম আগের তুলনায় বেড়েছে। বরং আরও অস্থিতিশীল হওয়ার কথা বলছেন খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতারা।
বাজারে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম বেড়েছে। সপ্তাহ খানেক আগে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম ছিল ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, যা এখন ১৯০ থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। অর্থাৎ সপ্তাহ ব্যবধাে কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে।  সোনালি মুরগির দামও ১০ টাকা বেড়ে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা হয়েছে। যা ২৬০ থেকে ২৭০ টাকা ছিল গেল সপ্তাহে। অন্যদিকে বাজারে বেশ কয়েক মাস ধরে চড়া রয়েছে আলু ও পেঁয়াজের দাম। বর্তমানে প্রতি কেজি আলু ৬০ টাকা এবং দেশি  পেঁয়াজ ১১০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে এক মাস আগে আলু ও পেঁয়াজের দাম কমাতে আমদানি পর্যায়ে শুল্ক কমিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আলু আমদানিতে বিদ্যমান ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। এছাড়া আলু আমদানিতে থাকা ৩ শতাংশ এবং পেঁয়াজ আমদানিতে থাকা ৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে এর কোনো প্রভাব পড়েনি।

অন্যদিকে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আগের সপ্তাহের তুলনায় বেশ কিছু সবজির দাম কেজি প্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা করে  বেড়েছে। বিক্রেতারা বলছেন, টানা কয়েক দিন বৃষ্টির কারণে সবজির সরবরাহ কমেছে। এর প্রভাবে দাম বেড়েছে।

পেঁপে ছাড়া বাজারে ৬০ টাকার নিচে কোনো সবজি পাওয়া যাচ্ছে না। ৬০ থেকে ৭০ টাকায় শুধু পটোল মিলছে। ঢ্যাঁড়স, ধুন্দল, ঝিঙা, চিচিঙ্গা, কচুরমুখি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে। বরবটি, কাঁকরোল, করলা, বেগুন ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। এছাড়া বাজারে কাঁচামরিচের দাম বেশি। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া বাজারে আগাম শীতকালীন সবজি শিম বিক্রি হতে দেখা গেছে ২২০ থেকে ২৮০ টাকা ও ছোট ছোট ফুলকপি ৬০ থেকে ৮০ টাকা পিস।

এছাড়া রুই, তেলাপিয়া, পাঙাশের মতো মাছ আগের দামেই বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি (চাষের) রুই ৩০০ থেকে ৩৬০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২২০ টাকা ও পাঙাশ ১৮০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হয়। তবে ইলিশের দাম (এক কেজি আকারের) কেজি প্রতি ১৫০ থেকে ২০০ টাকা েেবড়ে এক হাজার ৬০০ থেকে এক হাজার ৭০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা  গেছে। ক্রেতারা বলছেন, প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম না কমালে এখন সব কিছু যেন আমাদের সাধ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে। অতি প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির দাম এখন বছরের অন্যান্য সময়ের চেয়ে বেশ চড়া। কষ্ট হচ্ছে নিম্নবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তদের।

অন্যদিকে বন্দরবাজারের খুচরা এক মুদী দোকানী বলেন, বাজারে পণ্যের ঘাটতি নেই সত্য, কিন্তু দাম কমছেনা। কেন কমছেনা- সেটা বড় পাইকার ছাড়া কেউ বলতে পারবে না।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2024 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS