বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৪২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
‘মার্চ টু ইন্ডিয়ান হাইকমিশন’ আজ, আয়োজন জুলাই ঐক্যের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নরেন্দ্র মোদির কুশপুত্তলিকা পোড়ানো টিসিবির পরিবেশক নিয়োগ শুরু হলো ৩৬ জেলায় বিএনপির প্রস্তুতি শেষ, তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনের অপেক্ষা নির্বাচনের আগে সহিংসতা ও চোরাগোপ্তা হামলার মাধ্যমে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চলছে: প্রধান উপদেষ্টা আলমডাঙ্গায় জামায়াতের উদ্যোগে বিজয় দিবস উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার বিজয় র‌্যালী অনুষ্ঠিত মহান বিজয় দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে বাংলাদেশ গণমুক্তির পার্টি (বিজিপি)’র শ্রদ্ধা নিবেদন নরসিংদীর শিবপুর প্রশাসন এর উদ্যোগে বিজয় দিবস পালিত ময়মনসিংহে সমাজ রূপান্তর সাংস্কৃতিক সংঘের নানান কর্মসূচিতে বিজয় দিবস পালন

ভেঙে দেওয়া হচ্ছে ইসলামী ব্যাংকের পর্ষদ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : বুধবার, ২১ আগস্ট, ২০২৪
  • ৯০ Time View

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি’র বিতর্কিত পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। দু’তিন দিনের মধ্যে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি হতে পারে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানিয়েছে, ব্যাংকিং খাতের সংস্কারের অংশ হিসেবেই ইসলামী ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। ব্যাংকিং খাতের লুটেরা হিসেবে পরিচিত সাইফুল আলম মাসুদের এস আলম গ্রুপ ২০১৭ সালে ব্যাংকটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর এই ব্যাংক ৭০ হাজার কোটি টাকার বেশি সরিয়ে নিয়েছে। আর কোনো টাকা যাতে সরাতে না পারে সে লক্ষ্যে পর্ষদ ভেঙ্গে দেওয়া হচ্ছে।

ব্যাংকটির বেশিরভাগ শেয়ার এস আলমের হাতে থাকায় আপাতত ব্যাংকটিতে সব স্বতন্ত্র পরিচালক দেওয়া হবে। পরবর্তীতে আগের পরিচালকরা ২ শতাংশ করে শেয়ার কিনে আসার পর তাদের পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

২০১৭ সালে ইসলামী ব্যাংক দখলে নেয় এস আলম গ্রুপ। ব্যাংকটির মালিকানা নেওয়ার পর থেকে নামে-বেনামে ৭৫ হাজার কোটি টাকা বের করে নিয়েছে এস আলম গ্রুপ। ব্যাংকটির শেয়ারের ৮২ শতাংশের মালিকানা রয়েছে এস আলমের হাতে। এরই মধ্যে এস আলমের শেয়ার হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বিএসইসি।

ইসলামী ব্যাংক থেকে পাচার হওয়া টাকা এখন আদায় করা যাচ্ছে না, ফলে ব্যাংকটি তারল্যসংকটে ভুগছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংকে চাহিদামতো তারল্য জমা রাখতে না পেরে ব্যাংকটি প্রতিদিন জরিমানা দিচ্ছে। আবার একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সদ্য সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার নিজের বিশেষ ক্ষমতাবলে ‘টাকা ছাপিয়ে’ দেড় বছর ধরে ব্যাংকটিকে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন; কিন্তু ব্যাংকটির খারাপ অবস্থার জন্য যাঁরা দায়ী, তাঁদের কারও বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

এদিকে গত সপ্তাহে ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে চিঠি দিয়েছেন ব্যাংকটির শতাধিক কর্মকর্তা।

চিঠিতে বলা হয়েছে, পরিচালনা পর্ষদ ও কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে ব্যাংকের তহবিল লুটপাটের যে তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, বাস্তব অবস্থা এর চেয়েও ভয়াবহ। দীর্ঘদিন লুটপাটের ধারা অব্যাহত থাকার কারণে ব্যাংকের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। ব্যাংকটির প্রতি গণমানুষের আস্থার সংকট দেখা দিয়েছে। এ জন্য তাঁরা দ্রুত পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠনের দাবি জানান।

এতে আরও বলা হয়েছে, ইসলামী ব্যাংকের হারানো গৌরব পুনরুদ্ধার, ব্যাংকের সব অংশীদারদের স্বার্থ রক্ষা, তাঁদের আস্থা ফিরিয়ে আনা এবং ব্যাংকের স্বাভাবিক কার্যক্রম পুনরায় চালু করার জন্য ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিতে হবে। এ ছাড়া সৎ ও দুর্নীতিমুক্ত, ইসলামী ব্যাংকের প্রতি সহানুভূতিশীল বিজ্ঞ ব্যক্তিবর্গ অথবা প্রয়োজনে সাবেক পরিচালকদের থেকে কিছু ব্যক্তির সমন্বয়ে পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠনের দাবি জানানো হয় চিঠিতে।

বিদায়ী আওয়ামী সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে ২০১৭ সালে ইসলামী ব্যাংককে ‘জামায়াতমুক্ত’ করার উদ্যোগ হিসেবে এর মালিকানা ও ব্যবস্থাপনার নিয়ন্ত্রণ দেওয়া হয় এস আলম গ্রুপকে। মালিকানা পরিবর্তনে সহায়তা করেন তৎকালীন প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা অধিদপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তারা। এরপর সাড়ে সাত বছরে নামে-বেনামে ব্যাংকটি থেকে প্রায় ৭৫ হাজার কোটি টাকা বের করে নিয়েছে এই ব্যবসায়ী গোষ্ঠী ও এর স্বার্থসংশ্লিষ্ট রাজশাহীর নাবিল গ্রুপ। এই অর্থ ব্যাংকটির মোট ঋণের এক-তৃতীয়াংশ। এই টাকা বের করতে কোনো নিয়মকানুন মানা হয়নি। এই টাকা বের করা হয়েছে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম, তাঁর স্ত্রী, মেয়ের স্বামী, আত্মীয়সহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নামে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS