রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ১০:০২ পূর্বাহ্ন

২০ কোটি টাকা মানহানির মামলায় খালাস তারেক

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৪

২০ কোটি টাকার মানহানি মামলা থেকে দীর্ঘ নয় বছর পর খালাস পেলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ সোমবার (১২ আগস্ট) দুপুরের পর পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশীষ রায়ের আদালত ফৌজদারি কার্যবিধির ২৪৭ ধারায় তাঁকে খালাসের আদেশ দেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. কাইউম এ আদেশের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে ২০১৫ সালের ১৫ জানুয়ারি কলাপাড়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মো. হাবিবুল্লাহ রানা বাদী হয়ে কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২০ কোটি টাকার এ মানহানির মামলা করেন। তৎকালীন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সরাসরি মামলাটি আমলে নিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। বাদী পক্ষে মামলার নিযুক্তীয় কৌসুলি ছিলেন মরহুম অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন তালুকদার।

মামলায় বলা হয়, ২০১৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর ইস্ট লন্ডনের অস্ট্রিয়ামে যুক্তরাজ্য বিএনপি আয়োজিত বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ইতিহাস বিকৃত করে সাবেক রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে রাজাকার, লালসালু, পাকবন্ধু ও পাকিস্তানের পাসপোর্ট নিয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বাংলাদেশে আসেন বলে ধৃষ্টতাপূর্ণ মন্তব্য করেন এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের কোনো অবদান নেই, শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগের জন্য লালসালু, এ লালসালুকে ঘিরে থাকে ভক্তরা। দখলদার ও রং হেডেড শেখ হাসিনা যখনই বিপদে পড়েন, তখনই জনগণকে ধোঁকা দিতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দোহাই দেন। তাঁর পরিবারই রাজাকারের বংশ বিস্তার করছে, রাজাকারেরা তাঁর মন্ত্রিসভায় আছে তারেক রহমান তাঁর বক্তব্যে বলেন বলে বাদী তাঁর মামলায় উল্লেখ করেন। সাবেক রাষ্ট্রপতি ও তাঁর পরিবারবর্গকে নিয়ে তারেক রহমানের বক্তব্যে দেশ, জাতি তথা বাংলাদেশের সুনাম, সুখ্যাতিসহ বহির্বিশ্বে সাবেক রাষ্ট্রপতিসহ বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান ক্ষুণ্ণ হয়েছে, এতে ২০ কোটি টাকার মানহানি হয়েছে বলে বাদী তাঁর মামলায় দাবি করেন।

তারেক রহমানকে খালাস দেওয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট খন্দকার নাসির উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, এ মামলাটি ছিল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত একটি রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা। মামলার বাদী দীর্ঘ ৯ বছর আদালতে অনুপস্থিত ও নিযুক্তীয় কৌসুলির কোনো ধরনের তদ্বির ছাড়াই মামলাটি বিগত আওয়ামী লীগ সরকার আদালতকে ব্যবহার করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বহাল রেখেছিল বলেও জানান অ্যাডভোকেট নাসির খন্দকার।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS