নিজস্ব প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধা শহরে ছাত্র-জনতার সাথে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও মিছিলে পুলিশের টিয়ার শেল, সাউন্ড গ্রেনেড, রাবার বুলেট ও ছোড়রা গুলি নিক্ষেপ করেছে। এতে সাংবাদিক ও শিক্ষার্থীসহ কমপক্ষে শতাধিক আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে আশঙ্কাজনক ১৫ জনের মধ্যে তিনজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
রোববার দুপুর ২টার দিকে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
আহতদের উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তাদের মধ্যে এক নারী শিক্ষার্থীসহ ১৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাৎক্ষণিক তাদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
সরেজমিন, প্রত্যক্ষদর্শী ও মিছিলে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা জানায়, সকাল ১১টার দিকে পৌর পার্ক থেকে হাজার-হাজার ছাত্র-জনতার বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি শহরের ডিবি রোড হয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে যায়। সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থান করে মিছিলটি শহরের পুরাতন জেলখানা মোড়ের গোল চত্বরে ফিরে এসে অবস্থান নেয়।
এদিকে খবর আসে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে ছাত্র-জনতার মিছিলে পুলিশ লাঠিচার্জ করছে। এ খবর পেয়ে দুপুরে শিক্ষার্থীরা আবারও বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে যায়। এসময় মিছিলকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করলে ছাত্র-জনতার সাথে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুড়তে থাকে পুলিশ। এতে সাংবাদিকসহ মিছিলে থাকা অন্তত শতাধিক ছাত্র-জনতা আহত হয়।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। শুধু তাই নয়, শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ গুলিও ছোড়ে। এতে মিছিলে অংশ নেওয়া অন্ত:ত শতাধিক ছাত্র-জনতা আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তাদের মধ্যে ১৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এ ঘটনার পর জেলা শহরজুড়েই থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। শহরের অধিকাংশ দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। সেই সঙ্গে শহরের সড়কে যানচলাচলও কমে যায়।
তবে এ ঘটনার পর তাৎক্ষণিক চেষ্টা করেও পুলিশ সুপার মো. কামাল হোসেনের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এছাড়া সদর থানার ওসি মাসুদ রানার মুঠোফোনে কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply