রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:০২ পূর্বাহ্ন

সুখবর দিলো বিএসসিপিএলসি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : রবিবার, ৩০ জুন, ২০২৪
  • ১৪২ Time View

প্রায় আড়াইমাস ধরে সারাদেশে গ্রাহকরা ইন্টারনেটে ধীরগতি পাচ্ছিলেন। পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় স্থাপিত সাবমেরিন ক্যাবল সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগে এ বিভ্রাট দেখা দেয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন গ্রাহকরা।

অবশেষে গ্রাহকদের জন্য সুখবর দিলো বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসি (বিএসসিপিএলসি)। ইন্দোনেশিয়ার জলসীমায় সমুদ্রের তলদেশে বিচ্ছিন্ন হওয়া সাবমেরিন ক্যাবলের মেরামত কাজ শেষ। এখন পুনরায় সংযোগ সচল করা হয়েছে। শিগগির মিলবে পূর্ণ গতির ইন্টারনেট সেবা।

বিএসসিপিএলসি মহাব্যবস্থাপক (চালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ) সাইদুর রহমান রোববার (৩০ জুন) সকালে জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আমাদের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলটি (এসএমডব্লিউ-৫) সিঙ্গাপুর থেকে কিছুটা পশ্চিমে ইন্দোনেশিয়ার জলসীমায় কাটা পড়েছিল। দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টায় সেটার মেরামত কাজ শেষ হয়েছে গত ২৮ জুন। এখন সিমিউই-৫ সংযোগ পুরোপুরি সচল। ধীরে ধীরে ইন্টারনেটের গতি বাড়বে। কয়েকদিনের মধ্যে পূর্ণ গতির ইন্টারনেট পাবেন গ্রাহকরা।

বিএসসিপিএলসি সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে দেশে মোট ব্যান্ডউইথের ব্যবহার ৫ হাজার জিবিপিএসের বেশি। এর অর্ধেকেরও বেশি প্রায় ২ হাজার ৭০০ জিবিপিএস আন্তর্জাতিক টেরেস্ট্রিয়াল ক্যাবল (আইটিসি) লাইসেন্সের মাধ্যমে আসে, যা ভারত থেকে স্থলপথে ব্যান্ডউইথ আমদানি করতে ব্যবহৃত হয়।

বাকি ২ হাজার ৪০০ জিবিপিএসের মতো ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করে বিএসসিপিএলসি। দুটি সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে এ ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করা হয়। বাংলাদেশ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া-মধ্যপ্রাচ্য-পশ্চিম ইউরোপ-৪ (সিমিউই-৪) কনসোর্টিয়ামের সদস্য। ২০০৬ সালে বাংলাদেশ প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলে যুক্ত হয়। এর ল্যান্ডিং স্টেশন কক্সবাজারে। এটি প্রায় ৮০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করে থাকে।

দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সিমিউই-৫ প্রবেশ করেছে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা হয়ে। দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে এক হাজার ৬০০ জিবিপিএস সরবরাহ করা হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2024 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS