বর্তমান জীবন যাপনে নানা রকম শারীরিক সমস্যা লেগেই থাকে। একটা ভালো হয় তো আরেকটা জুটে যায়। অনিয়ন্ত্রিত খাওয়া দাওয়ার ফলে হজমে সমস্যা হয় ছোট বড় সবার। তাই হজম শক্তি বৃদ্ধির জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা।
হজম শক্তি বৃদ্ধি নিয়ে কথা বলেছেন টিবি হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. আয়েশা আক্তার। তিনি সকালে ঘুম থেকে উঠেই মধুযুক্ত কুসুম গরম পানি খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
এছাড়া আরও কিছু কৌশল অনুসরণ করার পরামর্শ দিয়েছেন ডা. আয়েশা আক্তার।
১. কুসুম গরম পানি খাওয়ার পর কমপক্ষে আধাঘন্টা ব্যায়াম করতে হবে।
২. সকালের নাস্তাটা পুষ্টিকর খাবার দিয়ে শুরু করতে হবে। যেমন: সিদ্ধ ডিম/পাউরুটি /অথবা আটার রুটি সাথে টক দই, ওটস, ফ্রুটস এগুলো খাওয়া যেতে পারে।
৩. সারাদিনে ১২ থেকে ১৪ গ্লাস পানি নিয়ম করে খেতে হবে।
৪. দুপুরের খাবারটা একটার মধ্যে শেষ করে ফেলতে হবে এবং খাদ্য তালিকায় প্রোটিন জাতীয় খাবার ক্যালরি সমৃদ্ধ হতে হবে। ভাজাপোড়া একেবারেই খাওয়া যাবে না।
৫. বিকেলের নাস্তায় ফল খাওয়া যেতে পারে। যেমন একটা কলা অথবা আপেল কিংবা দেশি ফল খেতে পারেন।
৬. রাতের খাবার আটটার মধ্যে খেতে হবে।
৭. দীর্ঘ সময় পেট খালি রাখলে পেটে গ্যাস তৈরি হয়। হজমেও সমস্যা দেখা দেয়।
৮. রাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমানো এবং সকালে ঘুম থেকে উঠে ব্যায়ামের অভ্যাস করতে হবে। ব্যায়ামের ফলে অক্সিজেন ঠিকমতো শরীরে পায়। রক্ত চলাচলেও সুবিধা হয়।
৯. খাদ্য তালিকায় আপেল, পেঁপে সহায়ক ভূমিকা পালন করে হজমের ক্ষেত্রে।
১০. মনে রাখতে হবে ভাজা পোড়া জাতীয় খাবার একদমই খাওয়া যাবে না। এছাড়া খুব বেশি ঝাল জাতীয় খাবারও খাওয়া যাবে না তাতে গ্যাস তৈরি হয়।
১১. হজমের সমস্যা দূর করতে হলে আঁশ জাতীয় খাবার বেশি পরিমাণে খেতে হবে। নিয়মিত শাকসবজি রাখুন রোজকার তালিকায়।
বিভিন্ন কারণে খাবার হজমের সমস্যা হতে পারে-
১. অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা।
২. খাবার খেতে সময় না নেয়া আর ভালোমতো না চিবিয়ে গিলে ফেলা।
৩. পাকস্থলীতে যদি কোন সমস্যা আগে থেকে তৈরি হয়ে থাকে।
৪. ধূমপান, অতিরিক্ত চা, কফি পান করলে।৫. প্যানক্রিয়াস বা অগ্ন্যাশয়ের কোনো সমস্যা থাকলে।
৬. অতিরিক্ত তেল মসলাযুক্ত খাবার খেলে।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply