রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ০৮:২০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
৭-০ গোলের জয়ে এশিয়ান কাপ বাছাই শেষ করল বাংলাদেশ নারী দল পবিত্র আশুরা জুলুম ও অবিচারের বিরুদ্ধে ন্যায় প্রতিষ্ঠায় মানবজাতিকে শক্তি যোগাবে : প্রধান উপদেষ্টা তথ্যনির্ভর সাংবাদিকতা পুঁজিবাজার উন্নয়নে ভূমিকা রাখে : বিএসইসি গত ১৫ বছরের সাংবাদিকতা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে তদন্ত হবে : প্রেস সচিব সঞ্চয়পত্রের মুনাফা বাড়ালে কেউ ব্যাংকে টাকা রাখবে না: অর্থ উপদেষ্টা ভৈরবে গাঁজাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার ৩ তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে রূপগঞ্জে বিএনপির বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি ও চারাগাছ বিতরণ সারাদেশে অব্যাহত মব সন্ত্রাস, সরকার ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যর্থতায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি নড়াইলে আরজেএফ অর্থ সচিব ফারুকুল ইসলাম এর স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত কমিউনিটি ব্যাংকের সঙ্গে হোটেল সারিনার ক্রেডিট কার্ড সেবা সংক্রান্ত ব্যবসায়িক চুক্তি স্বাক্ষর

ঠাকুরগাঁওয়ে রাসায়নিকের বিকল্পে জনপ্রিয় হচ্ছে কেঁচো সার

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : রবিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২২

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ে দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে পরিবেশ বান্ধব ও সাশ্রয়ী ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার। এতে রাসায়নিক সারের ব্যবহারের প্রবণতা যেমন কমছে, তেমনি ফসল উৎপাদনের খরচও সাশ্রয় হচ্ছে। এছাড়া জৈব সারের ব্যবহার ও উৎপাদন ছড়িয়ে দিতে কৃষি বিভাগ এই জেলার কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছে।

জানা গেছে, গত বছর ঠাকুরগাঁও সদরের বেগুনবাড়ি ইউনিয়নের নতুনপাড়া এলাকার ১০-১৫ জন চাষি কেঁচো সংগ্রহ করে জৈব পদ্ধতিতে সার উৎপাদন শুরু করেন। আর তাদের বিনা মূল্যে সার তৈরির উপকরণ দিয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সহযোগিতা করে। কৃষকদের উৎপাদিত সেই সার জমিতে ব্যবহার করে আশানুরূপ ফলন পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন চাষিরা।

বেগুনবাড়ি ইউনিয়নের নতুনপাড়া গ্রামের কৃষক শরিফুল ইসলাম, মাজেদুর রহমান, হামিদুর রহমান, রইস উদ্দীনসহ একাধিক কৃষক বলেন, সবজিসহ অন্যান্য ফসল উৎপাদনে কেঁচো কম্পোট সার প্রয়োগে খরচ হয় মাত্র আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত। কিন্তু রাসায়নিক সার ব্যবহারে সেই ফলন পেতে চাষিদের তিন থেকে চার গুন বেশি টাকা গুনতে হয়। তাছাড়া এ সার তৈরিতে তেমন খরচ না হওয়ায় আমরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছি।

বেগুনবাড়ি নতুনপাড়া এলাকার কৃষক মোমিনুল ইসলাম বলেন, ভার্মি কম্পোস্ট সার ব্যবহারের ফলে ফলন বেড়েছে। তাছাড়া নিজেই উৎপাদন করি বলে খরচও কমে গেছে। উৎপাদনের পাশাপাশি প্রতি কেজি কেঁচো ১০ টাকা দরে বিক্রি করে আমার বাড়তি আয় হচ্ছে।

বেগুনবাড়ি ইউনিয়নের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আলী হোসেন বলেন, এই এলাকায় মাঠপর্যায়ে কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণের জন্য পরামর্শ ও আর্থিক সহায়তার মধ্য দিয়ে ১০টির বেশি কেঁচো সার উৎপানের প্রদর্শনী গড়ে উঠেছে। কৃষকরা উৎপাদিত কেঁচো সার নিজের চাহিদা মিটিয়ে স্থানীয় বাজারেও বিক্রি করে আয় করছে। অনেক বেকার যুবকও কেঁচো কম্পোস্ট সার উৎপাদন করে উপার্জনে নেমে পড়েছেন। এজন্য সহজ শর্তে ঋণ সহায়তার দাবি তাদের।

ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ আবু হোসেন বলেন, ন্যাশনাল এগ্রিকালচার টেকনোলজি প্রোগ্রাম এনএটিপি-২’র আওতায় কৃষি বিভাগ কেঁচো সার উৎপাদনে কৃষকদের প্রয়োজনীয় সহায়তা করছেন। পরিবেশ বান্ধব এই সার মাটির স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। মাটির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধির সঙ্গে কৃষক কম খরচে সার পাচ্ছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS