শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৪ অপরাহ্ন

সিরাজগঞ্জে ইউনিয়ন আ. লীগের ৪৫ নেতাকর্মীর একযোগে পদত্যাগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : শুক্রবার, ৮ এপ্রিল, ২০২২
  • ১৪৪ Time View

সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মালেক খানের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ এনে দলের সাধারণ সম্পাদকসহ ৪৫ নেতাকর্মী একযোগে পদত্যাগ করেছেন।

গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর বিষয়ক সম্পাদক হামিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ৪৫ নেতাকর্মীর পদত্যাগপত্র আমি গ্রহণ করেছি। পদত্যাগ করা নেতাকর্মীদের মধ্যে রয়েছেন- ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক টি এম মোস্তফা জয়, সহ-সভাপতি মো. আনিছুর রহমান, মো. নজরুল ইসলাম, এস এম লুৎফর রহমান বাবু, যুগ্ম সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল ওয়াহব, কোষাধ্যক্ষ আবদুল খালেক, আইন সম্পাদক বাবুলাল সাহা, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. রুহুল আমিন, প্রচার সম্পাদক মো. আবদুল লতিফ, দপ্তর সম্পাদক ছালাম খন্দকার, ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুল হাইয়ুম, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মোছা. সিরিয়া বেগম, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. আবুল কাশেম, সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক লিটন সরকারসহ ৪৫ নেতাকর্মী।

পদত্যাগের বিষয়ে সাধারণ সম্পাদক টি এম মোস্তফা জয় বলেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল মালেক খান দীর্ঘদিন যাবত সংগঠনবিরোধী কর্মকা-ে লিপ্ত রয়েছেন। সম্প্রতি তিনি নিজের বাহিনী দ্বারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নজরুল ইসলামকে অপহরণ করে শারীরিক নির্যাতন করেছেন। অন্য দুই সহ-সভাপতি আনিছুর রহমান ও এস এম লুৎফর রহমান বাবুকে দিনে দুপুরে মারধর ও গালিগালাজ করেন।

তিনি বিভিন্ন সময়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অন্তত ১৫ নেতাকর্মীকে নির্যাতন করেছেন। এসব বিষয় নিয়ে গত ৪ এপ্রিল কার্যকরী কমিটির সভায় মোট ৬৪ জন সদস্যের মধ্যে ৫০ জন উপস্থিতি ছিলেন। এ সময় আমরা ৪৫ জন একযোগে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এরইমধ্যে পদত্যাগপত্র উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদক এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদকের কাছে পাঠিয়েছি।

অভিযোগের বিষয়ে সভাপতি আবদুল মালেক খান বলেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। সব অভিযোগ মিথ্যা। মূলত এ কমিটির দুই গ্রুপের মধ্যে বালুমহাল নিয়ে জটিলতা চলছে। আমি বিষয়টি সমঝোতার চেষ্টা করেছি বলে তারা সবাই এ মিথ্যা অভিযোগ করেছে। জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আমিই নেতাকর্মীদের সহায়তা করে থাকি। এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট কে এম হোসেন আলী হাসান বলেন, পদত্যাগপত্র হাতে পেয়েছি। তবে বিস্তারিত এখন বলতে পারছি না।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2024 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS