কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি: বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ঘোষিত বাংলাদেশের একটি মানুষ ও ঘরহীন এবং ভুমিহীন থাকবে না। কিন্তু এর ব্যত্যয় ঘটেছে কুড়িগ্রাম জেলার মোগলবাসা ইউনিয়নে।
নাম মোশারফ হোসেন, বয়স পঞ্চাশোর্ধ, একজন অসহায় খেটে খাওয়া দিনমজুর তিনি। স্ত্রী এবং এক কন্যা সন্তান নিয়ে কয়েকটি পুরাতন জীর্ণশীর্ণ টিন দিয়ে তৈরি খুপরি ঘরে খুবই অমানবিক জীবনযাপন করছেন তিনি।
দিন এনে দিন খাওয়া খুবই অসহায় মোশারফের এই করুন অবস্থায় খাড়ার উপর মরার ঘাঁ হিসেবে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার শিকার হন তিনি। ঢাকায় রাজমিস্ত্রির লেবার হিসেবে কাজ করতে গিয়ে বহুতল ভবনের ছাদ থেকে পরে যান তিনি। এতে তার কোমরের হাড় ভেঙ্গে অনেকদিন অসুস্থ অবস্থায় পরে থাকেন বাড়িতে। মিস্ত্রীর কাছ থেকে সামান্য কিছু অর্থ পেলেও তা দিয়ে কিছু ঔষধ পত্র এবং চাল ডাল কিনে কিছুদিন চললেও এরপর কঠিন পরিস্থিতিতে পরেন পরিবার নিয়ে। আগের মত ঠিকমতো কাজ করার শক্তি নেই তার। কিন্তু অভাবের তাড়নায় স্ত্রী এবং এক কন্যা সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে মাঝে মাঝে অনেক কষ্টে কাজ করেন তিনি। যা পান তা দিয়ে কোনরকম ডাল ভাতের ব্যবস্থা হলেও মাঝে মাঝে না খেয়ে থাকতে হয় তাদের। এরই মধ্যে ধার দেনা এবং স্থানীয় দোকানে বাকি খরচ নিয়ে মানবেতর জীবনধারণ করা মোশারফের মাথা গোঁজার ঠাই একমাত্র ভাঙ্গাঘরে ঝর বৃষ্টি হলে রাত জেগে বসে থাকতে হয় তাদের।
খোঁজ নিয়ে দেখা যায় কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার মোগলবাসা ইউনিয়নের চরসিতাইঝার গ্রামে বাধের রাস্তার পাশে ছোট একটি ভাঙ্গাঘরে দিনাতিপাত করছেন। তার ব্যাপারে জানতে চাইলে স্থানীয় এক মুদি দোকানি এবং এলাকার কয়েকজন প্রতিবেশী তার পরিবারের অসহায়ত্বের কথা শিকার করেন। তারা বলেন এই অসহায় অবহেলিত পরিবারটির জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একটি ঘরের ব্যাবস্থা করে দিলে আমরা এলাকাবাসী খুব খুশি হবো। তারা বলেন এই অসহায় মোশারফ হোসেনের ঘরে একটি কন্যা সন্তান (১৩) আছে। তারা খুবই অমানবিক এবং নিরাপত্তাহীনতায় জীবনধারণ করছে, অসুস্থ এবং অসহায় পরিবারটির পাশে স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বারকে বললেও তারা এই ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেন না।
এদিকে অসহায় এই পরিবার টি নিয়ে স্থানীয় সাংবাদিক এম জি রাব্বুল ইসলাম পাপ্পু তার ফেসবুকে একটি পোষ্ট দিলে গত ঈদুল ফিতরের আগে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মুসফিকুল হালিম জনৈক মোশারফ হোসেন কে দশ কেজি চাল দিয়েছেন।
এদিকে কান্নাজড়িত কন্ঠে মোশারফ এবং তার কন্যা এই প্রতিবেদক কে বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি হামাক একটা সরকারি ঘর করি দেয় তাইলে আল্লাহ তার অনেক ভালো করবে। হামরা সবসময় তার জন্য দোয়া করি।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply