সরকারি শিক্ষকদের মতো বেসরকারি শিক্ষকরাও বদলি হতে পারবেন এমন উদ্যোগ নিয়েছিল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। নিজেদের মধ্যে কয়েক দফা বৈঠক করে প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে আজ (রোববার) বৈঠকে বসে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। শেষ মুহূর্তে এসে সেই প্রক্রিয়া আটকে দিলো তারা।
এমপিওভুক্ত বেসরকারি স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের বদলি কার্যক্রম ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিরোধিতায় আটকে গেছে। আপাতত বদলি প্রক্রিয়া চালু না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
রোববার (৫ মে) শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর সভাপতিত্বে বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি নীতিমালা চূড়ান্ত করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সুপারিশপ্রাপ্ত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের সমপদে বা সমস্কেলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিবর্তন সংক্রান্ত নীতিমালা ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষক বদলি নীতিমালা-২০২৪’-এর খসড়া চূড়ান্ত করতে এ সভা ডাকা হয়।
সভায় অংশ নেয়া একাধিক কর্মকর্তা জানান, শিক্ষামন্ত্রী বদলি নিয়ে উপস্থিত কর্মকর্তাদের মতামত জানতে চান। তখন এক কর্মকর্তা জানান, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম চলছে। ৯৬ হাজারের বেশি শূন্য পদের গণবিজ্ঞপ্তি থাকলেও অর্ধেক পদও পূরণ হবে না বলে মনে করা হচ্ছে। এ অবস্থায় বদলি চালু করা হলে গ্রামের সব শিক্ষক শহরে চলে আসবেন। গ্রামের স্কুলগুলোতে খালি হওয়া পদগুলো আর পূরণ করা সম্ভব হবে না। এ জন্য আপাতত বদলি চালু না করতে শিক্ষামন্ত্রীকে মত দেন ওই কর্মকর্তা।
আরেক কর্মকর্তা সরাসরি বদলি চালু করা বা সম্ভব হলে সমপদে এবং সমস্কেলে প্রতিষ্ঠান পরিবর্তনের সুযোগ দেয়ার পরামর্শ দেন।
সভা সূত্রে জানা গেছে, শীর্ষ কর্মকর্তাদের উত্থাপিত যুক্তির ওপর ভিত্তি করেই বদলি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সমপদে এবং সমস্কেলে প্রতিষ্ঠান পরিবর্তনের সুযোগ দেয়ার প্রস্তাব মামলা জটিলতা থাকায় আপাতত ভেস্তে গেছে।
উল্লেখ্য, শিক্ষকদের নানা সমস্যার কথা বিবেচনা করে ২০২৩ সালে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি চালুর উদ্যোগ নেয় সরকার। গত বছরের ২২ অক্টোবর বদলি নিয়ে প্রথম কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। সে কর্মশালায় এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি নিয়ে একাধিক পরামর্শ দেয়া হয়।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply