কোরবানি শব্দটি ‘কুরবুন’ থেকে নির্গত। অর্থ হলো নৈকট্য লাভ করা। অন্যভাবে বলতে গেলে নিজের সবচেয়ে প্রিয় বস্তুকে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য উৎসর্গ করা। আল্লাহর পথে কোরবানি করা।
শরিয়তের পরিভাষায়-নির্দিষ্ট জন্তুকে একমাত্র আল্লাহ পাকের নৈকট্য ও সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট সময়ে নির্ধারিত নিয়মে মহান আল্লাহ পাকের নামে জবেহ করাই হলো কোরবানি।
কোরবানি ইসলামের অন্যতম এক নিদর্শন, তার হুকুমের ব্যাপারে ইমামদের মতবিরোধ রয়েছে। জমহুর উলামাদের নিকট সুন্নতে মুয়াক্কাদা, হানাফি মাজহাবের মতে ওয়াজিব।
গরু, মহিষ ও উট ইত্যাদির কোরবানিতে যেমন সাত অংশের বেশী জায়িজ নয়, তেমনি সাত জনের বেশী অংশীদার হয়েও কোরবানি করা জায়িজ হবে না। যদি কেউ এরুপ করে তাহলে কোন অংশীদারের কোরবানিই সহিহ হবে না।
সুতরাং দুই বা ততোধিক ব্যক্তি মিলিতভাবে কোরবানির পশুর সাত অংশের মধ্য হতে একটি অংশে শরিক হলেও কোরবানি জায়িজ হবে না।
তবে উল্লেখিত মাসআলাটি ওয়াজিব কোরবানি ও নিজের নামে কোরবানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কিন্তু অন্যের নামে নফল হলেও কোরবানির ক্ষেত্রে একাধিক ব্যক্তি এক অংশে শরিক হতে পারে।
যেমন একাধিক ব্যক্তি শরিক হয়ে গরুর সপ্তমাংশ রসুলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নামে কোরবানি করল অথবা চার পাঁচ ভাই মিলে পিতা-মাতার নামে ঈসালে সাওয়াবের উদ্দেশ্যে একটি ছাগল বা কোরবানির গরুর সপ্তমাংশে শরিক হয়ে কোরবানি করল তাহলে এতে কোন প্রকার অসুবিধা নেই।
বরং এরুপ অবস্থায় কোরবানি সহিহ হবে। (দুররে মুখতার ৬:৩১৫-৩২৬, খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৪:৩১৫, আহসানুল ফাতাওয়া ৭:৫০৭, ইমদাদুল ফাতাওয়া ৩:৫৭৩, ফাতাওয়া মাহমূদিয়া ৪:২৮৮ ও ৩১৫, ফাতাওয়া রহীমিয়া ২:৯০, ফাতাওয়া মাহমূদিয়া ১৪:৩৩৬)
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply