শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৩৬ অপরাহ্ন

নবাবগঞ্জে কারখানার কালো ধোঁয়ায় অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

মো: রুমন সরকার
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

নবাবগঞ্জ প্রতিনিধি: দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার মতিহারা বাজারের পূর্ব পাশে সম্প্রতি গড়ে উঠেছে টায়ার, টিউব, পলিথিনসহ বিভিন্ন আবর্জনা জ্বালিয়ে তেল তৈরির কারখানা। এর দূষিত কালো ধোঁয়ায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী। কারখানার কালো ধোঁয়ায় গ্রামের বেশির ভাগ শিশু ও বয়স্করা শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।

এ কারখানার দূষিত পানি বের হয়ে গিয়ে মিশছে তুলসীগঙ্গা নদী সহ মাঠের ডোবাতে। এতে সংকট দেখা দিয়েছে দেশীয় প্রজাতির মাছসহ বিভিন্ন জলাসয় প্রাণীর। এ ছাড়া ধানসহ মাঠের বিভিন্ন ফসল হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্থ।

অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার পুটিমারা ইউনিয়নের কালিয়া গ্রামের মোস্তাফিজুরের কৃষি জমি ভাড়া নিয়ে সেখানে টিনের বাউন্ডারি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এই কারখানা। বিশাল আকৃতির এক বয়লার ড্রাম, তার নিচে কাঠ পুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে তাপ। তার পাশেই পর্যাপ্ত পরিমানে মজুত রাখা হয়েছে জ্বালানি কাঠ।

স্থানীয় কালিয়া গ্রামবাসীরা জানান, দিনের বেলায় কারখানা বন্ধ থাকায় তেমন কোনো সমস্যা হয় না, কিন্তু সন্ধ্যায় যখন কারখানা চালু করে। তখন বিষাক্ত কালো ধোঁয়ার কারণে গ্রামের শিশু-বয়স্কসহ সাধারণ মানুষেরা ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। সন্ধ্যা হলেই ঘরের দরজা-জানালা সব বন্ধ করে দিতে হয়, তা না হলে কালো ধোঁয়ায় ভরে যায় পুরো ঘর। তখন নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়।

কারখানার শ্রমিকরা জানান, রাজধানী সহ বিভিন্ন জেলা থেকে গাড়ির টায়ার সংগ্রহ করে এখানে আনা হয়। তারপর সেই টায়ার বয়লার ড্রামে পুড়ে তেল উৎপাদন করা হয়। সেই তেল দেশের বিভিন্ন স্থানে রাস্তার কাজে ব্যবহৃত হয়।

কারখানার ম্যানেজার রাজ্জাক জানান, কারখানার মালিক দীপক ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ট্রেড লাইসেন্স, কল-কারখানা ও মেশিনারি অধিদপ্তর থেকে ছাড়পত্র নিয়েছে। এছাড়াও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করেছেন। এই কারখানা মালিকের অন্যান্য জেলার বিভিন্ন স্থানে এ রকম আরও একাধিক কারখানা রয়েছে।

এবিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর দিনাজপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানান, তেল উৎপাদন করে এমন কোনো প্রতিষ্ঠানকে আমরা ছাড়পত্র দেয়নি, কোনো আবেদনও পাইনি। অধিদপ্তর থেকে শিগগিরই ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হবে।

জনগণের কথা বিবেচনা করে প্রশাসনের আইনসম্মত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS