নিজস্ব প্রতিবেদকঃ চুয়াডাঙ্গা শহরে ক্লিনিকে অভিযান চালিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ ও ভোক্তা অধিকার অধিদ্ফতর। এসময় দুই ক্লিনিক মালিককে মোট ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। উদ্ধার করা হয় বিপুল পরিমান মেয়াদোত্তীর্ণ অজ্ঞান করার ইনজেকশন।
আজ বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা শহরের সদর হাসপাতাল এলাকায় ক্লিনিকে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও ভোক্তার অধিকার অধিদ্ফর যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করেছে।
অভিযানের নেতৃত্ব দেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ চুয়াডাঙ্গা অধিদফতরের সহকারী পরিচালকসজল আহম্মেদ। সহযোগীতা করেন চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. সাজিদ হাসান, স্যানেটারি ইন্সপেক্টর গোলাম ফারুক ও চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের একটি টিম।
চিকিৎসকরা বলছেন, মেয়াদোত্তীর্ণ অজ্ঞান করার ইনজেকশন কোন রোগীর শরীরে পুষ করা হলে মৃত্যুও হতে পার।
অভিযান সুত্রে জানা যায়, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালকের নির্দেশনায় চুয়াডাঙ্গা শহরে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় মদিনা ক্লিনিকের ফ্রীজ থেকে বিপুল পরিমান মেয়াদোত্তীর্ণ অজ্ঞান (অ্যানেসথেসিয়া) করার ইনজেকশন উদ্ধার করা হয়।
একই সাথে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ ২০০৯ এর ৫২ ধারায় মালিক হুমায়ন কবিরকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।
অপরদিকে, গ্রীন লাইফ মেডিকেল সেন্টারে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা করার মেয়াদোত্তীর্ণ রি-এজেন্ট উদ্ধার করা হয়। উক্ত অপরাধে প্রতিষ্ঠানটির মালিক আরফিনা খাতুনকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আওলিয়ার রহমান গনমাধ্যমকে বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগ ও ভোক্তা অধিদফতরের যৌথভাবে অভিযান চালিয়েছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে। অনিয়নের অভিযোগে জরিমানাও করা হয়েছে। মেয়াদোত্তীর্ণ অজ্ঞান করার ইনজেকশনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই ইনজেকশন রোগীকে পুশ করা হয়ে মৃত্যুও হতে পারে।
সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ গনমাধ্যমকে বলেন, মেয়াদোত্তীর্ণ অজ্ঞান করার ইনজেকশন, রি-এজেন্ট উদ্ধার সহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে দুই ক্লিনিক মালিককে মোট ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply