মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৩৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
কলামিস্ট মোমিন মেহেদীর উপর হামলার বিচার ও নিন্দা বিভিন্ন মহলের স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি থেকে ২.৫৫ কোটি টাকা আত্মসাত: পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে লেবার পার্টির গভীর শোক ও সমবেদনা কুড়িগ্রাম জেলা যুবদলের সভাপতি রায়হান কবীর না ফেরার দেশে চলে গেলেন ইন্তেকাল করলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া প্রধান উপদেষ্টার আমন্ত্রণে কেবিনেট বৈঠকে যাচ্ছেন মির্জা ফখরুল ভৈরবে বিএনপি’র মনোনীত প্রার্থী শরিফুল আলম এর মনোনয়ন পত্র দাখিল  নড়াইল জেলা আরজেএফ’র কমিটি অনুমোদন  সিপিবিএমএলের পুনর্গঠনের ৮ বছর উপলক্ষে আলোচনা সভা শার্শায় ধানের শীষের জোয়ার: মনোনয়নপত্র জমা দিলেন বিএনপি প্রার্থী নুরুজ্জামান লিটন

সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে তীব্র শীতেও খোলা আকাশের নিচে শিশুদের পাঠদান

মোহাম্মদ আলী স্বপন
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ২১৭ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক: সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার ‘পয়লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’ ভবনটি প্রায় তিন বছর আগে যমুনা নদীর ভাঙনে বিলীন হয়েছে । নতুন ভবন নির্মাণের জন্য প্রকল্পও বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে ভবন তৈরি না হওয়ায় খোলা আকাশের নিচে চলছে  কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম। এবারের হাড় কাঁপানো কনকনে শীতের মধ্যেও শিক্ষার্থীদের খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করতে হচ্ছে। এতে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে বিভিন্ন ঠান্ডাজনিত রোগে।

জানা যায়, ২০২১ সালে যমুনার ভাঙনে চৌহালীর ভুতের মোড়ে পয়লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনটি নদীতে বিলীন হয়ে যায়। এরপর থেকে বাঘুটিয়া ইউনিয়নের চরসলিমাবাদ দক্ষিণপাড়া এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে টিনের ছাপরা ঘর তুলে শুরু হয় পাঠদান কার্যক্রম। এদিকে ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি-৪ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৩৩ লাখ টাকা ব্যয়ে পয়লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়। উমারপুর ইউনিয়নের পয়লা চরে পাঁচ কক্ষ বিশিষ্ট টিনের ঘরটি নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়। ৬ মাসের মধ্যে ওই ঘরটি নির্মাণের কথা থাকলেও গত দেড় বছরে তিন ভাগের এক ভাগ কাজও করেনি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।

এদিকে ভাড়া নেওয়া ওই ছাপরা ঘরটি ছেড়ে দিয়ে নির্মাণাধীন নতুন ভবনের পাশে তীব্র শীতেও পাঠদান কার্যক্রম চালানো হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটির।

স্থানীয় বেশ কয়েকজন অভিভাবক বলেন, তীব্র শীতে খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করতে খুব কষ্ট হচ্ছে শিশুদের। তাদের কেউ কেউ ঠান্ডাজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ৬ মাসের মধ্যে ঘরটি নির্মাণের কথা থাকলেও দেড় বছরে তিন ভাগের এক ভাগ কাজও করেনি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ৪ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৩৩ লাখ টাকা ব্যয়ে পয়লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়।

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রেহেনা পারভীন জানান, নদী ভাঙনে স্কুল বিলীনের পর থেকে টিনের ছাপরা ঘর তুলে পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে। ঘর না থাকায় বই, হাজিরা খাতা, টেবিল, চেয়ার, ব্ল্যাকবোর্ড, গুরুত্বপূর্ণ ফাইলসহ আসবাবপত্র বাইরে পড়ে থেকে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সাবেক সভাপতি আব্দুল হালিম জানান, ঠিকাদারের গাফিলতির জন্য শিক্ষার্থীদের খোলা আকাশের নিচে কষ্ট করে ক্লাস করতে হচ্ছে। ঘরের কাঠামো তৈরি করেই ঠিকাদার উধাও হয়েছে। এখনো ঘরের মূল কাজ বাকি।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এসকে টিমবারের মালিক মো. কোহিনূর জানান, একসঙ্গে দুই স্কুলের কাজ করায় বেশি সময় লাগছে। আশা করছি, মার্চের মধ্যেই শেষ হবে।

চৌহালী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ বলেন, স্কুলটি নদীতে বিলীন হওয়ায় পয়লা চরে টিনের ছাপরায় পাঠদান কার্যক্রম চলছে। কিন্তু পাঠদানে কষ্ট হচ্ছে। সেখানে চর মডেলের একটি নতুন ঘর তৈরি হচ্ছে। ঠিকাদারকে দ্রুত নির্মাণকাজ শেষের তাগিদ দিচ্ছি বলেও জানান তিনি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS