ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জ ভৈরবে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত হয়েছে ৪টি দোকান। একই সঙ্গে আরও ৩টি দোকান ও একটি ব্যাংকের আংশিক ক্ষতি হয়েছে। রবিবার দিবাগত রাত ৩টায় শহরের মিষ্টি পট্টি ও আসমত টাওয়ারে ইসলামী ব্যাংক সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে এ অগ্নকান্ডে প্রায় দেড় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্যবসায়ীরা।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত আসমত টাওয়ারের ভিতরের শ্রী গুরু স্টোরের মালিক প্রদীপ রায় চৌধুরী নামে এক দোকানদার তার দোকানের পুড়ে যাওয়া মালামাল হাত বুলাচ্ছেন আর পাশে বসে কান্না করছেন। তিনি বলেন আমার সব শেষ, আমার আর কিছুই রইলো না। আরকে মার্কেটের আগুন আমার দোকানে ডুকে পড়েছে।
দুই দিন আগেও কয়েক লক্ষ টাকার মালামাল ঢুকিয়েছি। এমনিতে মাথার উপর অনেক ঋণ। এখন আমি কীভাবে এই ঋণের টাকা পরিশোধ করবো।
এ বিষয়ে লোকনাথ ভান্ডারের মালিক বিমল শাহা জানান, জিনিস পত্রের যে দাম। অল্প পুজিঁ দিয়ে ব্যবসা করা যায়না। আমার সাথে আরো তিনজন পার্টনার রয়েছে। আমার দোকানে কোন মালামাল খুঁজে পাচ্ছি না সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আমার প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
এলাকাবাসী ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, রাত সাড়ে তিনটায় একটি যে কোন একটি দোকান ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। এতে রাস্তার পাশের হাজী মোশাররফ হোসেনের তারা স্টোর, বিমল শাহার লোকনাথ ভান্ডার, কিরণ মিয়ার মদিনা পলিথিন স্টোর ও আসমত টাওয়ারের প্রদীপ রায় চৌধুরীর শ্রী গুরু স্টোর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। একই সঙ্গে পার্শবর্তী আরো ৩টি দোকানসহ একটি ব্যাংকের দুটি এসিসহ আংশিক পুড়ে যায়। এ সময় ফায়ার সার্ভিসের তিনটি টিমের ৪টি ইউনিট এসে দেড় ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
কিশোরগঞ্জ জেলা ফায়ার সার্ভিস উপ-সহকারি পরিচালক এনামুল হক বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে ভৈরব বাজার ফায়ার স্টেশন, নদী ফায়ার স্টেশন ও পার্শ্ববর্তী জেলা আশুগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসসহ ৪টি ইউনিট দেড় ঘন্টায় আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। এ অগ্নিকাণ্ডে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বৈদ্যুতিক সর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply