ছোট পর্দার দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী হুমায়রা হিমুর মৃত্যুর ঘটনায় তার কথিত বন্ধু মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন রুফি ওরফে উরফি জিয়াকে আটক করেছে র্যাব।
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এর আগে গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা প্রাণ রায় বলেন, উরফি জিয়া নামে হিমুর এক বন্ধু বিকেল ৩টার দিকে তার বাসায় যায়। পরে উরফি জিয়া (বন্ধু), মিহির (মেকআপ আর্টিস্ট) ও ওই বাড়ির দারোয়ান তিনজন মিলে হিমুকে হাসপালাতে নিয়ে আসেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশে খবল দিলে উরফি জিয়া সেখান থেকে চলে যায়। এরপর থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। হিমুর মোবাইলটাও পাওয়া যাচ্ছে না।
এ সময় তিনি আরও বলেন, তাকে (রুফি) গ্রেফতার করলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে।
অভিনেতা রওনক হাসান জানান, মেকআপ আর্টিস্ট মিহির ও অভিনেত্রীর বন্ধু তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। অভিনেত্রীর গলায় দাগ থাকলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশের সহায়তা নিতে চাইলে অভিনেত্রীর বন্ধু পালিয়ে যান।
অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবিব নাসিম বলেন, আত্মহত্যা নাকি হত্যা এখনই বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে আসলটা জানা যাবে।
২০০৫ সালে তিনি টেলিভিশন মিডিয়াতে এবং নাটকে যুক্ত হন মো: জামালউদ্দিনের নাগরিক নাট্যাঙ্গন অনস্যাম্বলে। ২০০৬-এ হুমায়রা হিমুর প্রথম নাটক ‘ছায়াবীথি’ প্রচারিত হয়। একই বছর পিআই (প্রাইভেট ইনভেস্টিগেটর) নামের একটি সিরিয়াল নাটকেও অভিনয় করেন। এরপরে তিনি ‘বাড়ি বাড়ি সারি সারি’, ‘হাউজফুল’, ‘গুলশান এভিনিউ’ সহ অনেক জনপ্রিয় নাটকে অভিনয় করতে থাকেন। আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
হুমায়রা হিমু ১৯৮৫ সালের ২৩ নভেম্বর লক্ষীপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ইস্পাহানি কলেজ থেকে এইচএসসি সম্পন্ন করেন। হিমু ইডেন মহিলা কলেজে ভর্তি হন এবং এ কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন। মঞ্চনাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি প্রথম নাট্য জগতে প্রবেশ করেন। ফ্রেঞ্চ নামক নাট্যদলের হয়ে তিনি অভিনয় করেন। তার মামা মূর্শেদ নাটকটিতে নির্দেশনা দিয়েছিলেন।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS