শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৪৭ অপরাহ্ন

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতা ও জনগণের অংশগ্রহণই প্রধান বিষয়

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : বুধবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৩
  • ২৩৪ Time View

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে বছরের প্রথম থেকেই মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তুতি ও উদ্যোগের কোনো ঘাটতি ছিল না। তবে সমস্ত চেষ্টার পরও এ বছর ডেঙ্গুতে রেকর্ড সংখ্যক মানুষের মৃত্যু অত্যন্ত বেদনার ও পীড়াদায়ক।

ডেঙ্গু রোগে একজনের মৃত্যুও আমাদের কাম্য নয় কিন্তু আমাদের আর কোনো কিছু করার বাকি রয়েছে কিনা সেই বিষয়গুলো আলোচনা করার জন্যই বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তায় আমাদের আজকের এ কর্মশালা। এখানে উপস্থিত আমরা সবাই কেউ কারও প্রতিপক্ষ নই বরং আমরা একেঅপরের অংশীদার। ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে আমাদের অজানা কোনো বিষয় যদি থেকে থাকে তা আলোচনা করার জন্যই আজকের এ কর্মশালা।

বুধবার (১১ অক্টোবর) ঢাকার একটি হোটেলে বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তায় স্থানীয় সরকার বিভাগ আয়োজিত “ডেঙ্গু প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণঃ তথ্য শেয়ারিং সেশন” কর্মশালায় এসব কথা বলেন তিনি।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী এ সময় বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে প্রতিবছর মশাবাহিত বিভিন্ন রোগ যেমন ডেঙ্গু, চিকনগুনিয়া ও ম্যালেরিয়ায় সারা পৃথিবীতে সাত লাখ মানুষ মারা যায়। ভৌগলিক অবস্থানগত কারণে আমাদের মতো দেশের জন্য মশাবাহিত রোগ মোকাবেলা করতে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। যদিও ১৯৬৪ সালে প্রথম ডেঙ্গু রোগ বাংলাদেশে আসে বলে তথ্যে জানানো হয়েছে কিন্তু এ রোগের ব্যাপকতা ২০১৯ সালে প্রথম আমরা দেখতে পাই। অত্যন্ত দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, এ বছর আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার আগের সব রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে। অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে মশা প্রতিরোধে জনসচেতনতা ও জনগণের অংশগ্রহণই প্রধান বিষয়। মন্ত্রণালয় থেকে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে টিবিসি প্রচারসহ নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সিটি করপোরেশন থেকে যেখানে এডিস মশার উৎসস্থল বা লার্ভা পাওয়া গেছে সেখানে জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে সিটি করপোরেশন এবং মন্ত্রণালয় থেকে আমি নিজে মাঠ পরিদর্শন করে জনগণের মাঝে লিফলেট বিতরণ করেছি।

তাজুল ইসলাম বলেন, বছরের প্রথম থেকেই এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে সিটি করপোরেশনগুলোতে মশা মারার পর্যাপ্ত ওষুধ, যন্ত্রপাতি এবং লোকবল রয়েছে কিনা সে বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে যথাযথ সহযোগিতা করা হয়েছে। এখন জনসম্পৃক্ততা যত বাড়ানো যাবে এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা যত শক্তিশালী হবে ততই এডিস মশার প্রজনন স্থল ও ডেঙ্গু রোগের সংক্রমণ হ্রাস পাবে।

কর্মশালা শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের ডেঙ্গু বিষয়ক নানা প্রশ্নের উত্তর দেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।

এ কর্মশালায় গণমাধ্যমের প্রায় শতাধিক প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র অপারেশন অফিসার ইফাত মাহমুদ এতে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এতে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম, আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আব্দুল্লায়ে সেক, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মলয় চৌধুরী এবং যুগ্ম সচিব ফারজানা মান্নান।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2024 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS