শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ০১:০৪ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
শুধু মতিঝিল কার্যালয় নয়, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সব বিভাগীয় অফিসে সঞ্চয়পত্রসহ পাঁচ ধরনের সেবা কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা মালয়েশিয়ায় বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ১৭৪ বাংলাদেশি আটক রাজধানীতে বিশেষ অভিযানে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ময়মনসিংহে সমাজ রূপান্তর সাংস্কৃতিক সংঘের হাঁটুরে কবিতার আসর অনুষ্ঠিত সুনামগঞ্জ-১ আসনে মাহবুবুর রহমানকে চুড়ান্ত মনোনয়নে ধানের শীষের প্রাথী করার দাবিতে গণমিছিল ভারতকে সুপার ওভারে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ বন্দর চুক্তিই একটা বড় দুর্নীতি : মোমিন মেহেদী অবিলম্বে শ্রমিকদের পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়ন করতে হবে, শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু ভোলা বরিশাল সেতুর দাবিতে ছাত্র জনতার পথযাত্রা সংক্ষিপ্ত অবস্থানে দ্বীপজেলা ভোলা নাগরিক ঐক্য ফোরামের সংহতি প্রকাশ সনাতন ধর্ম নিয়ে সাবেক সংসদ সদস্য হারুনর রশীদ- কর্তৃক কটূক্তির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ

জুলাইয়ে সঞ্চয়পত্র বিক্রি ৭ হাজার ৮৬০ কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ৩২০ Time View

চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে ৭ হাজার ৮৬০ কোটি টাকা। এই অর্থ থেকে আবার মূল ও মুনাফা পরিশোধে ব্যয় হয়েছে ৪ হাজার ৬১০ কোটি টাকা। আর শুধু মুনাফা পরিশোধ করা হয়েছে ১ হাজার ৬২৯ কোটি টাকা। ফলে জুলাই শেষে এই খাতে সরকারের ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ২৫০ কোটি টাকা।

সম্প্রতি জাতীয় সঞ্চয়পত্র অধিদপ্তর প্রকাশিত সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম মাস অর্থাৎ জুলাইয়ে ব্যাংক, ডাকঘর ও সঞ্চয় অধিদপ্তর থেকে গ্রাহকরা বিভিন্ন স্কিমে ৭ হাজার ৮৬০ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র কিনেছেন। একই সময়ে মূল সঞ্চয়পত্রের অর্থ ও মুনাফা পরিশোধে ব্যয় হয়েছে ৪ হাজার ৬১০ কোটি টাকা। ফলে জুলাই শেষে সরকারের ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ২৫০ কোটি টাকা। ২০২২ সালের জুলাইয়ে সঞ্চয়পত্রের নিট বিক্রি হয়েছিল ৩৯৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ আগের বছরের একই মাসের তুলনায় খাতটিতে ব্যাপকভাবে বিক্রি বেড়েছে।

সঞ্চয়পত্রের নিট বিক্রি বলতে বোঝানো হয়, একটি নির্দিষ্ট সময়ে সঞ্চয়পত্রের বিক্রি ও ভাঙানোর মধ্যকার ব্যবধান। গত অর্থবছরে যে পরিমাণ টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হচ্ছিলো, ভাঙানোর পরিমাণ ছিলো তার চেয়ে বেশি। অর্থাৎ প্রবৃদ্ধি ছিলো নেতিবাচক। তবে এই অর্থবছরের প্রথম মাসে ঠিক উল্টো চিত্র দেখা গিয়েছে। জুলাইয়ে মূল ও মুনাফা পরিশোধ করেও এই খাতে সরকারের ঋণ রয়েছে ৩ হাজার ২৫০ কোটি টাকা।

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত কয়েক মাসের তুলনায় জুলাইয়ে বড় ধরনের প্রবৃদ্ধি দেখা দিয়েছে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগে। বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে সঞ্চয়পত্রে নিট বিনিয়োগ ছিলো না। এ সময়ে সঞ্চয়পত্রে মোট বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ৮০ হাজার ৮৫৮ কোটি ৬২ লাখ টাকা। তবে ভাঙানো হয়েছে ৮৪ হাজার ১৫৪ কোটি ৫৬ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র। অর্থাৎ, ঐ অর্থবছরের শুরু জুলাই থেকে গত জুন পযর্ন্ত নতুন বিনিয়োগের চেয়ে ভাঙানোর প্রবণতাই বেশি ছিল।

এদিকে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে প্রজ্ঞাপন জারি করে সঞ্চয়পত্রের সুদহার কমিয়েছিল সরকার। একই প্রজ্ঞাপনে কয়েকটি স্তর করে দিয়েছে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি)। এর পর থেকেই সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ কমতে থাকে।

বিনিয়োগ কমার আরও কারণ রয়েছে। যেমন পাঁচ লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র কেনার ক্ষেত্রে প্রত্যেক গ্রাহককে বাধ্যতামূলকভাবে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হয়। সঞ্চয়পত্র ও ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক হিসাবে পাঁচ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অর্থ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আবার ব্যাংক হিসাবে জমা টাকা ১০ লাখ অতিক্রম করলেও দিতে হয় রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র।

সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগকারীরা মুনাফা পান। কিন্তু এই বিক্রি সরকারের জন্য ঋণ। জনগণের কাছ থেকে এ ঋণ নেওয়ার বিপরীতে সরকারকে উচ্চ হারে সুদ গুনতে হয়।

এদিকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র বিক্রি থেকে ১৮ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার, যা ২০২২-২৩ অর্থবছরের চেয়ে ১৭ হাজার কোটি টাকা বা ৪৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ কম। সদ্য সমাপ্ত ২০২২-২৩ অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র থেকে সরকার ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছিলো ৩৫ হাজার কোটি টাকা।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS