অনেকেরই বিয়ে নিয়ে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি আছে। চারপাশে প্রতিদিন বিয়ে ভাঙার নানা খবরে বিয়ের প্রতি অনীহা আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তবে জানলে অবাক হবেন, শারীরিক কিংবা মানসিকভাবে সুস্থ ও সুখী হতে বিয়ের বিকল্প নেই। এমনকি গ্যাস্ট্রিক ও ক্যানসারের মৃত্যুঝুঁকিও কমে বিয়ে করলে, এমনটিই জানাচ্ছে এক গবেষণা।
চীনের আনহুই মেডিকেল ইউনিভার্সিটির ফার্স্ট অ্যাফিলিয়েটেড হাসপাতালের নতুন সমীক্ষা এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
এই গবেষণার প্রধান অধ্যাপক আমান জু জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে গ্যাস্ট্রিক ও ক্যানসারে আক্রান্ত বিবাহিত ব্যক্তিদের বেঁচে থাকার হার বেশি। অপর দিকে এই হার অনেকটাই কম বিধবা, অবিবাহিত, বিচ্ছিন্ন ও তালাকপ্রাপ্তদের। গবেষকরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৩ হাজার ৬৪৭ জন ক্যানসার রোগীর বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করে এই উপসংহারে পৌঁছান।
গবেষকরা জানান, বিবাহিত ব্যক্তিদের মধ্যে ক্যানসার হলেও রোগী দীর্ঘায়ু পেতে পারেন। তারা দেখেছেন, ৭২ শতাংশ বিবাহিত পুরুষ ও নারীদের গ্যাস্ট্রিক ক্যানসার ধরা পড়ার পর অবিবাহিতদের তুলনায় ৫ বছর বেশি বেঁচে থাকার সম্ভাবনা আছে।
সিঙ্গেল থাকার সঙ্গে গ্যাস্ট্রিক ক্যানসারের সম্পর্ক কোথায়?
যদিও এ বিষয়ের মধ্যে একটি শক্তিশালী সংযোগ সম্পর্কে জানতে আরও গবেষণার প্রয়োজন হতে পারে। তবে গবেষকরা ধারণা করেছেন, অবিবাহিত কিংবা বিধবাদের মধ্যে ক্যানসারসহ বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বেশি হওয়ার কারণ হলো তারা নিজেদের প্রতি কম যত্নবান। চিকিৎসার বিষয়ে তাদের ‘আরও মনোযোগ ও সামাজিক সহায়তা প্রয়োজন।’
অবিবাহিতদের মধ্যে শুধু পাকস্থলীর ক্যানসারই নয় আলঝাইমার রোগ ও ডিমেনশিয়া হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ায়। এ ছাড়া মানসিক চাপ, অনিদ্রা, হৃদরোগ, বিষণ্নতা, দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা, পেটের সমস্যাসহ সাধারণ সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হওয়ারও ঝুঁকি বাড়তে পারে।
গবেষকদের মতে, জীবনসঙ্গী পাশে থাকলে সবাই সুখ অনুভব করেন। এমনকি তিনি আপনার খেয়ালও রাখতে পারেন। অসুখ হলে ওষুধ খাওয়ানো থেকে শুরু করে অন্যান্য সেবা তার মাধ্যমে পাওয়া সম্ভব। ফলে রোগী সহজে ভেঙে পড়েন না।
শরীরে কোনো রকম সমস্যা হলে যারা অবিবাহিত বা একা থাকেন তারা ততটাও গুরুত্ব দেন না। আর তাতেই বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
-নিউইয়র্ক পোস্ট
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply