আমাদের দৈনন্দিন ব্যস্ত জীবনে শারীরিক ও মানসিক চাপে দীর্ঘমেয়াদি রোগ বেড়েই চলেছে। এর সঙ্গে ঘুমের সমস্যাও প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছে। অনেকে আবার ঘুমের ওষুধের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছি। কিন্তু ঘুমের ওষুধ সেবন শরীরে কতটা ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে, সে ব্যাপারে আমাদের ধারণা থাকা জরুরি।
চলুন জেনে নিই আমরা কেন ঘুমের ওষুধ খাই-
– মাথা ঘোরা, মাথা ব্যথা
– ডায়রিয়া
– বমি বমি ভাব
– ঘুম ঘুম ভাব
– অ্যালার্জির সমস্যা
– ওজন বৃদ্ধি
– স্মৃতিশক্তি লোপ
– আত্মহত্যার প্রবণতা বৃদ্ধি
– চিন্তা-ভাবনার পরিবর্তন হওয়া, যেমন—হ্যালুসিনেশন
– দীর্ঘদিন ঘুমের ওষুধ খেলে যে সমস্যা হতে পারে
– ওষুধে নির্ভরশীলতা
– ওষুধে আসক্তি
দীর্ঘদিন ওষুধ খেলে নির্ভরশীলতা তৈরি হওয়ার কারণে ওষুধ না খেলে নিদ্রাহীনতা দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া দুশ্চিন্তা বেড়ে যাওয়া, স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়া—এসব সমস্যাও হতে পারে।
কিছু ওষুধ ধীরে ধীরে বন্ধ করতে হয়। হঠাৎ করে ওষুধ বন্ধ করার ফলে মানসিক অবসাদ, জ্বর, কাশি, ঠান্ডা, শরীর ম্যাজম্যাজ করা, সারা শরীরে চুলকানিসহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়।
ব্যবস্থাপত্র (প্রেসক্রিপশন) ব্যতীত যে ওষুধগুলো বিক্রি করা যায় না, ঘুমের ওষুধ তার মধ্যে অন্যতম। ঘুমের ওষুধের ফলে দেহে বিভিন্ন জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ঘুমের ওষুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকা জরুরি।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply