১) শরীর দুর্বলের জন্য বেশি বেশী ফল খান (আপেল, আঙ্গুর)। আসলে শরীর দুর্বল এর কারণ ডায়াবেটিস বেশী, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে আসলে দুর্বলতা কেটে যাবে। বেশি ফল খেলে আরো ক্ষতি হবে। ডায়াবেটিস রোগীরা অপেক্ষাকৃত কম মিষ্টি ফল যেমন- পেয়ারা, শক্ত কলা, মালটা, আমড়া, জাম্বুরা, আপেল, আঙ্গুর খেতে পারবেন, তবে পরিমানে অল্প করে খেতে হবে।
২) মাঝে মাঝে মিষ্টি না খেলে সুগার নিল হবে। সুগার নিল হবার কারণ হলো- ভুল করে বেশি ইনসুলিন নেয়া, ঔষধ বেশি করে খাওয়া, ইনসুলিন বা ঔষধ খেয়ে খাবার না খাওয়া বা খাবার খেতে দেরী করা, প্রতিদিনের নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বেশি ব্যায়াম বা কায়িক শ্রম করা। মিষ্টি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার বা চিনি জাতীয় খাবার বা বিস্কুট বা চকলেট শুধুমাত্র ডায়াবেটিস যদি ৪ এর নীচে নেমে যায় তখন খেতে হবে। এমনি এমনি মিষ্টি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার খেলে ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত হয়ে যাবে।
৩) ডায়বেটিসের ঔষধ চলছে, সাথে সিগারেট, বিড়ি, জর্দা, গুল ইত্যাদি খাওয়া চলছে। তামাক বা তামাক জাতীয় জিনিস খাওয়া সবার জন্যই হারাম বা অনুচিত।
৪) ডায়াবেটিস বেশি নাই তাই হাঁটার এবং খাবার নিয়ন্ত্রন করার দরকার নাই। প্রকৃতপক্ষে নিয়মিত হাঁটা এবং খাবার নিয়ন্ত্রন করা ডায়াবেটিস রোগীর প্রধান চিকিৎসা।
৫) যেদিন ডায়াবেটিস টেস্ট করা হবে সেদিন সকালের ইনসুলিন বা ঔষধ খাবার দরকার নেই। এটি ভুল; ঔষধ বা ইনসুলিন না খেয়ে ডায়াবেটিস টেস্ট করলে ডায়াবেটিস এর রেজাল্ট বেশি আসবে। টেস্টের দিন অবশ্যই নিয়ম মত সকালে খালি পেটে ঔষধ বা ইনসুলিন নিতে হবে, নাস্তার পর কোন ঔষধ থাকলে সেটা খেতে হবে। টেস্টের দিন অন্যান্য দিনের মত একই নাস্তা খেতে হবে, যেমন- বাড়িতে সকালে ভাত খেলে, টেস্টের দিনও সকালে ভাত খেতে হবে।
৬) ডায়েবেটিস রোগীকে শুধু একবার ভাত খেতে হবে। এটিও ভুল। ডায়াবেটিস রোগীকে শর্করা জাতীয় খাবার কম খেতে হবে, বিশেষ করে যেগুলো দ্রুত রক্তে গ্লুকোজ বাড়ায় যেমন- মিষ্টি, জিলাপী ইত্যাদি। ভাত এবং রুটি দুটোই শর্করা, পার্থক্য হলো- রুটি গোনা যায়, ভাত গোনা যায় না, রুটি একটা সব্জী দিয়ে খাওয়া যায়, কিন্তু ভাত খেতে ডাল, সব্জী, মাছ বা ডিম বা মাংস লাগে, ফলে অনেক কিছু খাওয়া হয়। অল্প পরিমানে ভাত দুই বেলা এমনি তিন বেলা খেলেও কোন সমস্যা নেই।
ডাঃ রতীন্দ্র নাথ মণ্ডল
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ
রংপুর স্পেশালাইজড হাসপাতাল।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply