সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৭:৩২ পূর্বাহ্ন

চুনারুঘাটে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে পাকা ঘর নির্মাণ করায় রেমা-কালেঙ্গাসহ বনাঞ্চলের জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে

লিটন পাঠান
  • আপডেট : রবিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৩

হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের বন্য প্রাণীরা দিন দিন অনিরাপদ হয়ে পড়ছে। বনমজুর ও বনসম্পদ আহরণকারীদের অবাধ বিচরনের কারণে বনের প্রাণীকুল মারাত্মক ভাবে হুমকীর সম্মুখিন। সম্প্রতি বনের অভ্যন্তরে আরও দুটি পাকা ঘর নির্মাণ করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্ততি সম্পন্ন হয়েছে এ কারণে বনাঞ্চলের প্রাণীকুল নিরাপত্তার অভাবে লোকালয়ে ছুটে আসছে।

এছাড়া অনেক প্রাণী ক্ষিপ্ত ও লোভী গ্রামবাসির হাতে ধরা পড়ছে। গত ২৪ এপ্রিল চুনারুঘাট উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের ফাটাবিল গ্রামের একটি ঘর থেকে পা বাঁধা অবস্থায় একটি মায়া হরিণ উদ্ধার করে বনরক্ষিরা হরিণটিকে দুপুরের দিকে বনে ছেড়ে দেয়। একদিন পর গহীন জঙ্গলে হরিনটি মৃত্যুর কুলে ঢলে পড়ে। মায়া জাতীয় হরিণটি গ্রামের পাশে অবস্থিত রেমা বন থেকে তাড়া খেয়ে লোকালয়ে প্রবেশ করেছিলো। গত ৩/৪ মাস পুর্বে একই বন থেকে চলে আসা অপর একটি মায়া হরিণ চনখলা গ্রামে ধরা পড়েছিলো গ্রাম বাসিরা সেই হরিনটি জবাই করে গোস্ত ভাগ করে নেয়।

গত বুধবার সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান ও তেলমাছড়া বনভিটের মধ্য দিয়ে চলাচলকারী গাড়ী চাপায় একটি কিং কুবরা ও বিরল প্রজাতির সবুজ সাপ মারা গেছে চুনারুঘাট উপজেলার রেমা-কালেঙ্গা, সাতছড়ি অভয়ারণ্য দেশের অন্যতম বনাঞ্চল। এখানে বাঘ, বানর, মেছোবাঘ, শুকুর, হনুমান, হরিণ, নানান জাতের বানর, অজগর সাপসহ বিভিন্ন প্রজাতির পশুপাখীর বসবাস। এ সাতছড়ি বনের মধ্যদিয়ে সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক (পুরাতন) অবস্থিত এ সড়ক পথে হবিগঞ্জ ও মাধবপুরের মধ্যে যাত্রীবাহী, বালুবাহী, পর্যটনবাহী ও জ্বালানীকাঠ বহনকারী যান-বাহন দ্রুতগতিতে চলাচল করে। বনের অভ্যন্তরে হরহামেশাই চলাচল করে জ্বালানী কাঠ সংগ্রহকারী বনমজুর ও গাছপাচারকারী লোকজন। এ বনে উচ্চ শব্দে সাউন্ড বক্স বাজানোর কারণে বনে পশুরা আতংকে দিন কাটায়। রেমা-কালেঙ্গা অভায়ারণ্যে দিন রাত বনমজুরা আসা যাওয়া করে কাঠ চোরাকার বারীদের তৎপরতাও বেড়ে গেছে। 

সম্প্রতি। এতে ভীত সন্ত্রস্ত প্রাণীকুল লোকালয়ে ছুটে আসে এবং গ্রামবাসির হাতে ধরা পড়ে। গত তিন মাসে ওই দুই বনের বেশ কয়েকটি মেছোবাঘ, মায়া হরিণ ও সাপ গ্রামবাসির হাতে নিহত হয়েছে একটি সুত্র জানান, বনজসম্পদ রক্ষা, বন সম্প্রসারণের জন্য প্রতিবছর সরকারের কোটি কোটি টাকা গচ্ছা যায় কিন্তু আশংকাজনক হারে কমে যাচ্ছে বনের গাছ-গাছালী ও বনে বসবাসকারী পশুপাখি বনবিভাগের লোকজন বলছেন, লোকবলের অভাবে বন-জঙ্গল পাহাড়া দেয়া তাদের পক্ষে কঠিন তবে সাতছড়িতে পাকাঘর নির্মাণ আপাতত বন্ধ রয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS