মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:৪০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
ইসলামী ব্যাংকে নব নিযুক্ত সিকিউরিটি গার্ডদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত দায়িত্বভার গ্রহণ করলেন চুয়াডাঙ্গার নবনিযুক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন। শুভেচ্ছায় শিক্ত নবাগত ডিসি, উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার প্রত্যয় নিরাপদ পানি নিশ্চিত করতে যৌথভাবে কাজ করবে রবি ও ওয়াটারএইড মাধবপুরে বাগান থেকে যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার নারায়ণগঞ্জের সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভীকে আরও পাঁচটি মামলায় গ্রেপ্তার পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে ইউনাইটেড পাওয়ার প্রথম প্রান্তিক প্রকাশ করেছে দেশ গার্মেন্টস সিলকো ফার্মার লভ্যাংশ ঘোষণা ৫ বেসরকারি ব্যাংক একীভূত করার সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট সঞ্চয়পত্র ও প্রাইজবন্ড বিক্রি বন্ধ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক

জনগণের জীবনমানের উন্নয়নে বাংলাদেশ বিশ্বের বিস্ময়

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : শুক্রবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৩

তিন মেয়াদে জাতীয় সংসদের ধারাবাহিক অগ্রযাত্রা, সংসদীয় গণতন্ত্রের স্থায়িত্ব ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নয়নের ক্ষেত্র রচনা করেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেছেন, জনগণের জীবনমানের উন্নয়নে আজ বাংলাদেশ বিশ্বের বিস্ময়। দারিদ্র্য বিমোচন, দুর্যোগ মোকাবিলা, নারী ক্ষমতায়ন, শিশু মৃত্যুহার হ্রাস ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিশ্বে বাংলাদেশ আজ রোল মডেল।

শুক্রবার (৭ এপ্রিল) জাতীয় সংসদ সংসদের ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে বিশেষ অধিবেশনে ১৪৭ বিধিতে দেয়া প্রস্তাব উত্থাপনকালে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা।

সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ধারবাহিকভাবে ২০০৮ সাল থেকে দেশে গণতন্ত্র অব্যাহত আছে। ফলে একটা স্থিতিশীলতা আছে। মাঝে মাঝে আমাদের প্রতিবন্ধকতা, অনেক চড়াই-উৎরাই পার হতে হয়। তারপরও বাংলাদেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। সরকারের জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় মহান জাতীয় সংসদ অনন্য ভূমিকা পালন করছে। আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। আশা করি, ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ এবং জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।

শেখ হাসিনা বলেন, পঞ্চাশ বছরের পথ চলায় বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ অনেক ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী হয়ে আছে। এ পথপরিক্রমা অনেক ক্ষেত্রেই মসৃণ ছিল না। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কাল রাতে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর বারবার সামরিক ফরমান জারি করে সংবিধানকে ক্ষতবিক্ষত করা হয়। গণতন্ত্র ও জাতীয় সংসদের ওপর আঘাত হেনেছ। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল সামরিক ও স্বৈরশাসনের পালাবদলের মধ্যদিয়ে সংবিধানের চার মূলনীতিতে আঘাত করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধে ১৯৭৯ সালে দ্বিতীয় সংসদে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে কালো আইনে পরিণত করা ছিল সংসদীয় ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। পরে ৭ম সংসদে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিলের মধ্য দিয়ে ইতিহাসের নিকৃষ্টতম ও নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচারের পথ সুগম করা হয়।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার সাড়ে তিন বছরের শাসনকালে দেশের জন্য সবচেয়ে বেশি কার্যকর ভূমিকা পালন করেছিলেন। একটি বিরল দৃষ্টান্ত জাতির সামনে রেখে গিয়েছিলেন জাতির পিতা। ইচ্ছা থাকলে দ্রুত একটা দেশকে পুনর্গঠন, পুনর্বাসন এবং উন্নয়ন করা যায়। আজকে তিনি বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ অনেক আগেই উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে উঠত।

সংসদে প্রধানমন্ত্রীর উত্থাপিত প্রস্তাবটি হচ্ছে, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ৫০ বছর পূর্তির এই মাহেন্দ্রক্ষণে সংসদের অভিমত এই যে, ‌‘বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সংসদীয় গণতন্ত্রের কেন্দ্রবিন্দুরূপে জনগণের জীবনমান উন্নয়ন এবং আশা আকাঙ্ক্ষা সফলভাবে বাস্তবায়নে অব্যাহতভাবে কার্যকর ও সক্রিয় ভূমিকা রাখবে এবং এর মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র হবে সুসংহত, শোষণমুক্ত সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে, সবার জন্য সাম্য ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে, সংবিধানের এ অঙ্গীকারসমূহ পূরণে আমরা সকলে একযোগে কাজ করব, গড়ে তুলব আগামীর সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা- এই হোক আমাদের প্রত্যয়।’

এর আগে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ভাষণ দেন। প্রধানমন্ত্রী প্রস্তাব তোলার পর এর ওপর সংসদে আলোচনা শুরু হয়। সরকারি দলের সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ ও শেখ ফজলুল করিম সেলিম আলোচনায় অংশ নেন। সংসদ সদস্যদের আলোচনা শেষে রোববার (৯ এপ্রিল) এই প্রস্তাব গ্রহণ করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS